বাংলাহান্ট ডেস্ক : একসময়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পরিণত হয়েছিল বার্নপুর ইসকো (IISCO Burnpur)। বার্নপুর শহরের অবস্থা ৯০ এর দশকে হয়ে ওঠে কঙ্কালসার। তবে সেই কারখানাকেই পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। তাঁর হাত ধরেই নতুন ভোরের আলো দেখেছিল বাংলার (West Bengal) এই সংস্থা।
বার্নপুর ইসকোর (IISCO Burnpur) জয়যাত্রা
ইসকোর ৫ টি শ্রমিক সংগঠন মিলে গঠন করে ইসকো বাঁচাও কমিটি। তৎকালীন UPA সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে কারখানার হাল ধরার আবেদন নিয়ে পৌঁছায় সেই কমিটি। তারপর মনমোহন সিংয়ের হাত ধরে নতুন ভোরের স্বপ্ন বাধতে থাকে বার্নপুরবাসীর মনে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর ল্যান্ড করলেন বার্নপুর এয়ারস্ট্রিপে।
নতুনভাবে ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন হল সংস্থার। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কারখানায়। তারপর থেকেই জয়যাত্রা শুরু করে ইসকো (IISCO Burnpur)। কারখানায় কর্মসংস্থান হয় প্রচুর শ্রমিকের। একদা ১ মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সংস্থাটি আজ পরিণত হয়েছে ২.৫ মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কারখানায়। এই কারখানাকে ঘিরে নতুনভাবে জেগে উঠেছে বার্ণপুর শহর।
আরোও পড়ুন : জামিনের আবেদন খারিজ! যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের? কি জানাল আদালত?
সময়ের সাথে দ্রুত ইসকো এগিয়ে চলেছে সফলতার শিখরে। বার্ণ এন্ড কোম্পানী ১৯১৮ সালের ১১ই মার্চ আসানসোলের বার্ণপুরে প্রতিষ্ঠা করে দি ইন্ডিয়ান আইরন এন্ড ষ্টিল কোম্পানী (Indian Iron & Steel Company) ইসকো। এই উদ্যোগের নেতৃত্বে ছিলেন জি.এইচ.ফেয়ারহার্ষ্ট। তাঁর উদ্যোগেই গড়ে ওঠে বার্ণপুর টাউনশিপ। ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার ১৯৭২ সালের ১৪ই জুলাই অধিগ্রহণ করে ইসকোকে।
রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনের জেরে ৯০ এর দশকে ইসকোকে নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। এরপর ২০০৬ সালে স্টীল অথারিটি অব ইন্ডিয়ার(সেইল) সহযোগী সংস্থা থেকে ইসকো পরিণত হয় সেইল-এর অঙ্গে। কারখানাটির নতুন নামকরণ হয় ইসকো স্টিল প্ল্যান্ট। তারপর থেকে ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে প্রাচীন এই সংস্থা। যদি সেদিন মনমোহন সিং তৎপরতা না দেখাতেন তাহলে হয়ত চিরকালের মতো বাংলার শিল্প মানচিত্র থেকে মুছে যেত ইসকোর নাম।