বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরাখন্ডের (Uttara Khand) জোশীমঠ (Joshimath) নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ধীরে ধীরে মাটির নিচে বসে যাচ্ছে গোটা শহর। কিন্তু কেন এই অবস্থা? প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই আইআইটি কানপুরের একটি গবেষক দল জোশীমঠ আসেন। ওই দল গবেষণা করে জানা জোশীমঠ মোটেই সুরক্ষিত নয়। যেকোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আইআইটি কানপুরের ওই রিসার্চ দলকে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক রাজীব সিনহা। তিনি পরিষ্কার জানান জোশীমঠ এখনও মানুষের থাকার উপযুক্ত হয়নি। জানা যাচ্ছে জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনা গত ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। বহু মানুষের বাড়িতে ফাটলের খবর সামনে আসে। ফাটল দেখা যায় চাষের জমিতেও। শহরের মনোহর বাগ রোড, গান্ধী রোডের মতো জায়গাগুলিগে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়।
জনপদ জোশীমঠের বিভিন্ন বাড়ি, হোটেলে গত ২ জানুয়ারি থেকেই ফাটল ধরতে দেখা যাশ। সেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। ভেঙে পড়েছে পরিত্যক্ত মন্দির। আতঙ্কে প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন সেখানকার ৬০০টি পরিবার। জোশীমঠ যে আর বসবাসের উপযুক্ত নয়, তা আগেই বুঝে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। রবিবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল মাত্র। উত্তরাখণ্ড সরকার রীতিমতো নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিল, ‘‘বসবাসের জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ নয়’’ জোশীমঠ। একই সঙ্গে ‘বিপর্যয়গ্রস্ত’ তকমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই শহরকে।
জোশীমঠের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, সে ব্যাপারে জানতে কেন্দ্র অনেকটাই নির্ভর করছে ৭ বিশেষজ্ঞের দলের রিপোর্টে। কেন্দ্রের তৈরি এই দলে থাকছেন, এনডিএমএ-র বিশেষজ্ঞ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার প্রতিনিধি, এ ছাড়া জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া), রুরকি আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ, হিমালয়ের ভূতত্ত্ব সংক্রান্ত ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ, ভারতের জলবিদ্যা সংক্রান্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজিট-এর প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় নির্মাণ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট