এবার লাইন, ফ্যান চলবে মূত্র থেকে তৈরি বিদ্যুতেই! বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিল IIT বিজ্ঞানীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকেই বলে থাকেন, কোনও কিছুই ফেলনা নয়। তাই বলে মূত্রও? এই মূত্র দিয়ে বড়সড় চাহিদা মেটানো সম্ভব। শুনে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল নিশ্চয়ই? হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এটাই সত্যি। এখন নিশ্চিয়ই ভাবছেন কীভাবে কোন চাহিদা মেটাতে পারে ? এবার মানুষের প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে।

বিস্ময়কর এই কাজ করে শিরোনামে উঠে এলেন আইআইটি পালাক্কাডের বিজ্ঞানীরা। বিদ্যুৎ নিয়ে গবেষণার শেষ নেই বিজ্ঞানীদের। বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন তারা। তবে এবার কেরালা আইআইটি পালাক্কাডের বিজ্ঞানীরা যা করে দেখালেন, তা শোনা বা জানার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না হয়তো কেউই।

আরোও পড়ুন : আগামী মাসেই নিউটাউনে নতুন ক্যাম্পাস, হবে বিপুল কর্মসংস্থান! বড় ঘোষণা ইনফোসিসের

মানুষের মূত্র থেকে বিদ্যুৎ এবং সার উভয়ই তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।  এই নতুন প্রযুক্তিটি একটি “প্রস্রাব-চালিত, স্ব-চালিত স্ট্যাকড ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল রিসোর্স রিকভারি রিঅ্যাক্টর” এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। কীভাবে সম্ভব এটি ? জানা যাচ্ছে, এই চুল্লি মূত্রে উপস্থিত আয়নিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।

আরোও পড়ুন : ফের ভয়ানক বিস্ফোরণ বাজি কারখানায়! প্রাণ হারালেন ১০জন, আহত বহু

এছাড়া এটি নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ জৈব সার তৈরি করে। এই গবেষণা দলের নেতৃত্বে আছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ প্রবীণা গঙ্গাধরন। এই জৈব সার নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। যা উদ্ভিদের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

অন্যদিকে, এই প্রযুক্তিটি প্রতি চক্রে ৫০০ মিলিওয়াট (মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ এবং ৭-১২ ভোল্টের ভোল্টেজ তৈরি করতে সক্ষম। এর দ্বারা বর্তমানে মোবাইল ফোন এবং এলইডি লাইট চার্জ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আগামীদিনে এটি থিয়েটার এবং শপিং মলের মতো শক্তির জায়গাগুলিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

107743398.cms

আইআইটি পালাক্কাদ দ্বারা জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, “এই প্রযুক্তিটি উৎস-বিচ্ছিন্ন প্রস্রাব ব্যবহার করে। প্রস্রাব মলের সাথে মিশ্রিত হয় না। এই প্রযুক্তিতে অ্যাক্রিলিক চুল্লি ইউনিট ব্যবহার করা হয়, যাতে অ্যানোড এবং ক্যাথোড একত্রিত হয়। যখন এই ইউনিটগুলিতে প্রস্রাব ঢেলে দেওয়া হয়, তখন ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল বিক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রতিক্রিয়াগুলি একইসঙ্গে বিদ্যুৎ এবং জৈব সার উৎপন্ন করে।”

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর