প্রাসাদোপম আটতলা অট্টালিকা, কোটি টাকার সম্পত্তি! মহানগর ওসির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একতলা বা দোতলা নয়, প্রাসাদোপম অট্টালিকা তাও আবার আটতলা। আর এই আটতলা বাড়ির মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা থানার ওসি মণিরুল ইসলাম। তবে, বহুতল এই প্রাসাদ তৈরীর করেও তিনি ক্ষান্ত হননি। বিপুল সম্পত্তির মালিক ওই ওসি এবার ডুপ্লে তৈরীর দিকে নজর রাখছেন। কিন্তু ডুপ্লে তৈরী করতে গিয়েই বেধেছে বিপত্তি। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে মণিরুল ইসলামের। দুর্নীতির টাকা দিয়েই তার এই বিলাসবহুল জীবনযাত্রা চলছে বলেই মনে করছেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশের এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, হাই কোর্টের তরফে তিন মাসের মধ্যে ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে, ওসির হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাপানউতোর চলছে।

সূত্রের খবর, ঢাকার ওই ওসির আট তলা বাড়ির পাশাপাশি কেরানিগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জেও ওসির বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এমনকি,তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদপুর হাউজিং সোস্যাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িও তিনি দখল করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই ওসি আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই। একই সঙ্গে বহুজনের সাথেই তার দুর্নীতির যোগ রয়েছে।

Ramna Thana

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে ওসির যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে, বাস্তবে তার থেকেও নাকি বেশি সম্পত্তি রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মণিরুল ১৯৯২ সালে প্রথমে এসআই (সাব ইনস্পেক্টর) পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন । তারপর ইনস্পেক্টর পদে তার পদোন্নতি হয় ২০১২ সালে। জানা গিয়েছে, ওসি হয়েও কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন মণিরুল, সেই প্রশ্ন তুলেই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইদুল হক আদালতের দ্বারস্থ হন। রবিবার সেই মামলার শুনানিতেই আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল আদালত।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর