বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছিল না অনুমতি। কিন্তু তাও বেআইনি ভাবেই চলছিল দাপুটে তৃণমূল নেতার বিশাল ইমারত তৈরির কাজ। এবার বজবজের ওই নেতার বিরাট ইমারত গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। সেই মতন মঙ্গলবার থেকেই শুরু হল বাড়ি ভাঙার কাজ।
জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই একটি বিশাল বাড়ি বানাচ্ছিলেন বজবজ পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ লুৎফার হোসেন। কিন্তু এই বাড়ি তৈরিতে বাধ সাধেন জনৈক ভদ্রমহিলা। এই বাড়ি তৈরির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন তিনি। সেই মামলারই রায়ে নির্মানকাজ বন্ধ করে বহুতলটিকে সিল করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এরপর বজবজ পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিল্ডিংটি ভাঙার জন্য। সেই মতন এদিন থেকেই শুরু হল বাড়ি ভাঙার কাজ।
পুরসভা বর্তমান তৃণমূল চেয়ারম্যান গৌতম দাস গুপ্ত বলেন, ‘মহামান্য আদালতের নির্দেশ মতই আমরা এই নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভাঙার কাজ হাতে নিয়েছি। এই বাড়িটি তৈরি করবার জন্য পুরসভার রেকর্ড অনুযায়ী কোনও প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই ভাঙা হচ্ছে বাড়িটি।’
যদিও আদালতের এহেন নির্দেশের প্রেক্ষিতে নিজের বাড়ির হয়ে সাফাই গেয়েছেন ওই কাউন্সিলর। বাড়ির মালিক লুৎফর হোসেনের দাবি, ‘একথা ঠিক যে, বাড়ি তৈরির সময় লিখিত কোনও অনুমতি আমি নিইনি। কিন্তু কারও জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করিনি। জমিটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। তা সত্ত্বেও আদালতের রায় আমি মাথা পেতে নিয়েছি। তবে আছিপুর পর্যন্ত এমন অনেক বিল্ডিংই রয়েছে যেগুলো অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছে।’ স্বভাবতই এভাবে আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার ৫ তলা বিল্ডিং ভাঙার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।