সরকারি জমি থেকে সরানো হবে অবৈধ ধর্মস্থল, ৮ জেলাশাসককে চিঠি নবান্নের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার সরকারি জমি থেকে সরাতে হবে ধর্মীয় কাঠামো। নবান্ন থেকে এমন নির্দেশই দেওয়া হল ৮ জেলার জেলাশাসককে। সরকারি নীতি অনুয়ায়ী ওই দখলদারি সরানোর পর রাজ্যকে দিতে হবে রিপোর্টও।

রাজ্যজুড়ে সরকারি জমিতে চলছে দখলদারি। অবৈধ ভাবে গড়ে উঠছে মন্দির মসজিদ। যার ফলে ওই জমিতে সরকারের পক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এবার তাই এই ব্যাপারে কড়া হল রাজ্য সরকার। ৮টি জেলার জেলাশাসকদের লিখিত নির্দেশ দেওয়া হল ওই বেআইনি কাঠামো সরিয়ে দিতে।

নবান্ন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এই ৮টি জেলাশাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাঠামো সরিয়ে তার যথাযথ রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। বাম আমলেই এই নীতির শুরু হয়েছিল। এবার সেই ‘ অন রিমুভাল অফ আনঅথরাইজড টেম্পেলস অ্যান্ড স্রাইনস, এটসেটরা ফ্রম পাবলিক প্লেসেস’ নীতি মেনেই রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলির প্রতি কড়া হচ্ছে রাজ্য। এই মর্মে জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি নির্মাল্য ঘোষাল। একই সঙ্গে চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকেও। এই সমস্ত জেলায় মন্দির মসজিদ সরাতে জেলাশাসকদের সাহায্য করবেন তাঁরা। পুরো কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জমা দিতে হবে রাজ্যের কাছে।

gbbjbcb

কার্যতই রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সরকারি জমি থেকে ধর্মীয় স্থান সরিয়ে ফেলাকে কিছুতেই ভালো চোখে দেখছে না তারা। এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনগণের একাংশের মধ্যেও।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর