বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দামোদর-অজয় নদ চত্বরে বালিপাচারে যুক্ত ‘কিং পিং’ পারভেজ আলম সিদ্দিকী (parvej siddiqui)। অবৈধভাবে বালি পাচার করায়, কমে যাচ্ছিল নদীর নাব্যতা। যার ফলে সমস্যা পড়ছিলেন নদী পার্শ্ববর্তী মানুষজন। এই অবৈধকাজের মূল মাথাগুলিকে শণাক্ত করতে, অবশেষে পারভেজ আলম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া, কাঁকসা এলাকায় বেশ কয়েকবছর ধরেই দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছিল বালি মাফিয়াদের। পাশাপাশি দামোদরের বালির চাহিদা বেশি হওয়ায়, দামোদর-অজয় নদ চত্বরে ভীষণ ভাবে মাথাচাড়া দিয়েছিল বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলা সহ একাধিক জায়গায় কয়েকশো কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি ফিয়ে অবৈধভাবে বালি পাচার করত পারভেজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা শনিবার সন্ধ্যেয় বিহারের মজফবপুর থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুরে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে, পারভেজকে নিজেদের হেফাজতে রেখে তদন্ত করার জন্য পুলিশের আর্জি মেনে নেয় আদালত। দেওয়া হয় ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত।
এইভাবে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা কোন নতুন ঘটনা নয়। এমন ঘটনা আগেও অনেক ঘটতে দেখা গিয়েছিল। তবে জানা গিয়েছে, এপ্রিল-মে মাস থেকে বৈধ বালি নদী তীরবর্তী জায়গায় মজুত করে বালি ব্যবসায়ীরা। আর সেই বালি ১৬৫ টাকা প্রতি ১০০ সিএফটি বালির রয়েলটি ধার্য হয়।
তবে বৈধঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি মজুত করার খবর পেয়েই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। আর সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় পারভেজ আলম সিদ্দিকীকে।