বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ঘটনায় চাপে পড়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। শহরের বুকে একাধিক বহুতল হেলে যাওয়া থেকে শুরু করে অবৈধ নির্মাণ, সামনে এসেছে বহু ঘটনা। এই আবহে অবৈধভাবে জমি দখলের ঘটনায় অভিযোগের তীর কেএমসির (KMC) এক প্রাক্তন অ্যাসসি কালেক্টরের বিরুদ্ধে! অভিযোগ কানে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ!
গত ৭ ফেব্রুয়ারি টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফোন করেছিলেন ডায়মন্ড হারবার রোডের বেহালা থানার অধীন অঞ্চলের শুভাশিস দত্ত নামের একজন বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, অবৈধভাবে তাঁর সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। একথা শোনার পরেই মেয়র ফিরহাদ প্রশ্ন করেন, এই ধরণের ঘটনা কেন ঘটেছে? সেই সঙ্গেই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কাজের জন্য পুরসভার একাধিক বিভাগের অনুমোদন মিলেছিল। সূত্র মারফৎ খবর, কলকাতা পুরসভার ওই প্রাক্তন কর্মী অবৈধ সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য অবৈধ অনুমতিকে বৈধ করার ক্ষেত্রে কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation) একাধিক বিভাগের থেকে সই জোগাড় করেছিলেন। অর্থাৎ সেই সকল বিভাগের তরফ থেকে বৈধ অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে! এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বড় খবর
এদিকে অভিযোগকারী ব্যক্তির দাবি, তাঁর অনেকখানি জমি ছিল। তার একটি অংশ অবৈধভাবে দখল করে একজন প্রোমোটারকে বিক্রি করে দেন পুরসভার ওই প্রাক্তন কর্মী। অন্তত ৩০০ স্কোয়্যার ফুট জমি দখল করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ বলেন, ১০০% টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত হলে ওই কর্মীর পেনশন আটকে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) একাধিক বিভাগের তরফ থেকে অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি থেকে আবার বেশ কিছু প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে। যে সকল বিভাগ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেখানকার কর্মীরা কি এই ঘটনায় জড়িত? প্রাক্তন অ্যাসসি কালেক্টরের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তাঁরা কি অবগত ছিলেন? একাধিক প্রশ্ন থাকলেও উত্তর এখনও অধরা। এদিকে এই বিষয়ে মেয়র এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।