বহু পুরনো ছয়টি গাছ ছিল স্কুলের পিছনে। গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের কাছে কোনও লিখিত অনুমতি না নিয়েই গাছগুলিকে সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ অনুমতি ছাড়াই পরপর ছয়টি বহু পুরনো গাছ কাটার অভিযোগ উঠলো বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। যার জেরে এলাকায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
দেখুন ভিডিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্বরে প্রায় ছয়টি বহু পুরনো বড় গাছ ছিল। কিন্তু সেই গাছগুলিকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও গাছ কাটার জন্য কোনও লিখিত অনুমতি সংশ্লিষ্ট বন দপ্তরের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এইদিকে বনদপ্তরের নিয়মানুসারে,শহরাঞ্চলে একটি গাছ ও গ্রামাঞ্চলে তিনটি গাছ একসঙ্গে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বনদপ্তর অনুমতি দিলেও সেই গাছটি কোন প্রয়জনে কাটা হচ্ছে সেটিও বিবেচনা করা হয়। কিন্তু,বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে থাকা ছয়টি বহু পুরনো বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এমনকি গাছের গুঁড়িগুলিও স্কুল চত্বরেই মজুত করে রাখা হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধু। তিনি বলেন,”গাছ কাটার জন্য আমরা মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলাম৷”
এই বিষয়ে বীরভূম জেলা অতিরিক্ত বন আধিকারিক (ADFO) বিজন কুমার নাথ বলেন, “পুজোর ছুটিতে অফিস বন্ধ ছিল৷ তাই আমাদের কাছে কাছ কাটার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।”