বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সময়ে রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদ শিরোনাম, সবেতেই জড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বাবুল ইস্যু নিয়ে আরও বেশি করে জলঘোলা হতে শুরু করে। দূরত্ব তৈরি হয় দলের সঙ্গে।
স্যোশাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, দল ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ- সবকিছু মিলিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে জোর চর্চা চলছিল রাজনীতির অন্দরে। তবে বর্তমানে বিজেপিতেই থাকছেন এবং সাংসদ পদেই থাকছেন বলে জানিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। আর পাশাপাশি জানিয়েও দিলেন, ‘ওয়ান টিম ম্যান আমি। ভবিষ্যতেও অন্য কোন দলে যাব না। আসানসোলের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই’।
গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে বাবুলের দূরত্ব তৈরি হতেই তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবারও পদ্ম শিবিরে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করায়, সে জল্পনা ছাই চাঁপা পড়ে গেছে। তবে অন্য দলে না গেলেও, এদিন এক সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাখ্যা করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
তিনি বলেন, ‘গত ২৩ শে জানুয়ারী নেতাজির জন্মজয়ন্তিতে কেন্দ্রের তরফে ভিক্টোরিয়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষবার দেখা হয়। অনুষ্ঠানে এক শিল্পী একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিলেন। তখন উনি ওই বাদ্যযন্ত্রের বিষয়ে আমার কাছে জানতে চান এবং কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে কোথায় পাওয়া যাবে তা জানতে চেয়েছিলেন। আমি ওনাকে ঠিকানা বলে দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম, আমি কিনে দিলে আপনি তো আবার নেবেন না’।
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘রাজ্যের ট্রাফিক সিগন্যালে এখন আর আমার গান বাজানো হয় না। তৃণমূলের কোন অনুষ্ঠানে বুকিং হলেও, তা বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট লুঠ না হলেও, গণনাকেন্দ্রে অভব্যতা হয়েছিল। সেইদিন বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেরা যখন গালাগালি করছিল, তারপরই ভেবেছিলাম রাজনীতি থেকে সরে যাব’।