বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধ করার দাবিতে বর্তমানে সরগরম হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। নবনির্মাণ দলের নেতা রাজ ঠাকরে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “লাউডস্পিকারে যদি আজান বাজানো হয়, তবে তার দ্বিগুন জোরে হনুমান চাল্লিশা বাজানো উচিত।” এরপর থেকেই মহারাষ্ট্রের একাধিক স্থানে বন্ধ করে দেওয়া হয় লাউডস্পিকারের ব্যবহার। যদিও রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে পুলিশ বর্তমানে পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তাও এই পরিস্থিতি কোনমতেই শান্ত হওয়ার নাম নেই। আর এর মাঝেই এবার বিতর্কের সেই আঁচ এসে পৌঁছালো কলকাতাতেও।
কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুরুল রেহমান বরকতি এদিন মসজিদে মাইক বা লাউডস্পিকার না রাখার বক্তব্যকেই পরোক্ষ সমর্থন করলেন। বলে রাখা ভাল, গত 38 বছর ধরে মসজিদের ইমামের ভূমিকা পালন করে চলেছেন রেহমান বরকতি। শুধু তাই নয়, 1986 সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার দ্বারা শব্দের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়, সেই সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
ফলে এই প্রশ্নটিই উঠতে শুরু করেছে যে, অতীতে যে ব্যক্তি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেন হটাৎ তাঁর এই ভোল বদলের কারন কি? এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। আমাদের চারপাশে এখন এতই শব্দ যে ক্রমশ পরিবেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে চলেছে। দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় যে কোন সমস্যা এড়িয়ে চলাই ভালো।”
এছাড়াও মসজিদে লাউডস্পিকার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “কোরআনে বলা আছে নামাজ পাঠ করার আগে আজানের মাধ্যমে মানুষকে জানাতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে মাইকের ব্যবহার যে করতে হবে, এমন কথা লেখা নেই। আসলে মাইক আবিষ্কারের পর থেকে এটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে যদি এর ব্যবহারে কারোর কোন রকম সমস্যা হয়, তবে তা না বাজানোই উচিত। এছাড়া যখন কেউ নামাজ পড়তে যান, তিনি মসজিদে পৌঁছানোর সময় সম্পর্কে অবগত থাকেন। এরপরেও অসুবিধা হলে এখনকার দিনে মোবাইলে এলার্ম-এর সুবিধা রয়েছে। ফলে মাইক না বাজানোই ভালো।”