বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথমে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় আর এখন ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেই ছবি নেটমাধ্যমে শেয়ার করতেই সমালোচনার ঝড়। এবার পালটা উচিত জবাব দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করলেন ইমন।
এবার পুজোটা বিদেশে কেটেছে ইমনের। ছিল গানের অনুষ্ঠান। সেখান থেকে ফিরেই বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। শুধু রাজনৈতিক না, সাংষ্কৃতিক জগতেরও নানান মানুষ।এসেছিলেন এদিন। আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন ইমন। এদিনের অনুষ্ঠানের নানান ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
উজ্জ্বল কমলা শাড়ি গয়নায় সেজেছিলেন ইমন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সস্ত্রীক সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী, শুভাপ্রসন্ন, হরনাথ শাস্ত্রীদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন নিজের পেজে। ক্যাপশনে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। কিছু সুন্দর মানুষের সঙ্গে দেখা হল এখানে।’
এরপরেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। স্বস্তিকার মতো ইমনকেও ছেড়ে কথা বলেননি কেউ। এমনকি বঞ্চিত চাকরীপ্রার্থীদের অবহেলা করে বিজয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যও কটাক্ষ শুনেছেন সঙ্গীতশিল্পী। কমেন্ট বক্সের মন্তব্য লিমিটেড করেও সামাল দিতে পারেননি।
এরপর নিজেই বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন ইমন। ট্রোলারদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তায় লিখেছেন, ‘সাংঘাতিক জেট ল্যাগ। ঘুম আসছে না। ফেসবুকে একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হচ্ছি যে কিছু মানুষ শুধু খারাপ বলতেই জানে। কেউ সোজা হাটলে বলবে বেঁকা যান, বেঁকা গেলে তো কথা ই নেই। ভালোমন্দ, গান বাজনা, খেলাধুলো, রাজনীতি, চাঁদে কী হচ্ছে, সমুদ্রের নীচে কী হচ্ছে, শাড়ি কেন পরলেন না, বরের সাথে হেসে কেন ছবি দিলেন, এর সাথে কেন ছবি তুললেন, ওনার সাথে কেন তুললেন না, আজকে কেন নিরামিষ খেলেন, পাঠার মাংস খেলেন? প্রাণী হত্যা মহাপাপ, আরও কত কিছু। আরও সব কিছু, কেন?’
কটাক্ষ শানিয়ে ইমন প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘আপনারা যারা এইটা করেন বা ভাবেন, তারা এই গুলো সব মেনে নিয়ে জীবন কাটাতে পারতেন? আমি বলছি পারতেন না। প্রত্যেকটা মানুষের নিজের বাচাঁর স্বাধীনতা আছে। আপনার আমার সবার। ঘৃণা ছড়াতে চাইলে ছড়ান। তার দায় আপনার। আমাদের (মানে যাদের প্রতিনিয়ত টার্গেট করেন তাদের) নয়। আর বিশ্বাস করুন, দিনের পর দিন এই সব নিতে নিতে ঘরে আন্ধকারে আর বসে না থেকে ‘আলোয় ভালোয়’ বাচঁতে শিখে গেছি। ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন। আর হ্যাঁ পারলে একটু যোগা করে নিন। টাটা।’