বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারেগামাপার (saregamapa) ফিনালের পর রীতিমতো মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (iman chakraborty)। তাঁর টিমের অর্কদীপ মিশ্র (arkodeep mishra) বিজেতা হওয়ায় চরম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল ইমনকে। তিনি নাকি টাকা খাইয়ে বিজেতা বানিয়েছেন অর্কদীপকে, এমন অভিযোগও উঠেছিল গায়িকার বিরুদ্ধে। সমবেত ট্রোলের মুখে পড়ে এতই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি যে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল ইমনকে।
সম্প্রতি আনন্দবাজার ডিজিটালের লাইভে এসে এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইমন। তিনি বলেন, অর্কদীপের নাম বিজয়ী হিসাবে ঘোষিত হতেই ক্ষুব্ধ হন দর্শকদের একটা বড় অংশ। বিজেতা হওয়ার যোগ্য নয় অর্কদীপ। ইমন নিজের গুরুভাইকে টাকা খাইয়ে জিতিয়েছেন, উঠতে থাকে এমনি সব অভিযোগ। এমনকি দুজনের সম্পর্ক নিয়েও কুৎসা রটানো হয়েছিল।
ইমন সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে পালটা জবাবও দিয়েছিলেন ট্রোলের। কিন্তু কমার নাম নেয়নি ট্রোল। প্রতিনিয়ত কুৎসার মুখে পড়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ইমন। গায়িকা জানান, তিন চার দিন বাড়ি থেকে বেরোতেও পারেননি তিনি। তাঁর সবসময় মনে হতো মানুষ তাঁকে খারাপ চোখে দেখছে। শেষমেষ এই অবসাদ থেকে বেরোতে মনোবিদের সাহায্য নেন ইমন।
এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি নেটিজেনদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন ইমন। তাঁর প্রশ্ন, একটা ছেলে প্রথম হয়েছে। এতে এত সমালোচনা কেন? অর্কদীপের জায়গায় যদি নীহারিকা প্রথম হত তাতেও কিছু মানুষের সমস্যা থাকত। তখন বলা হত অর্ক বাংলা লোকগান গায়। আমাদের সেটা শোনানো হচ্ছে না কেন।
ইমন আরো বলেন, ‘ছেলেটার মনের অবস্থাটা ভেবে দেখেছেন? ওখানে যারা বিচারকের আসনে রয়েছেন তাঁরা সকলেই পারদর্শী। গান বাজনা শিখে তবেই ওখানে বসেছেন। শঙ্কর মহাদেবন, শ্রীকান্ত আচার্য, মিকা সিং, জয় সরকারদের যোগ্যতা নিয়ে আপনারা কমেন্ট করছেন। নিজেদের কোথায় নামাচ্ছেন।’
কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি ট্রোল, সমালোচনা। একে একে নেটজনতার রোষের নিশানা হয়েছেন অন্যান্য বিচারকরাও। জয় সরকারের বিচারযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নেটিজেনদের একহাত নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী তথা গায়িকা লোপামুদ্র মিত্র। মুখ খুলেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচীও।