বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund, IMF) প্রথমে শ্রীলঙ্কা এবং তারপর ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্য করেছে। তবে, এবার এই তালিকায় জুড়ল আরও একটি দেশ। জানা গিয়েছে, এবার অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে থাকা আর্জেন্টিনার জন্য ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দিয়েছে IMF। তবে, এই দেশগুলিকে সাহায্য করলেও পাকিস্তানের বিষয়ে এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েকমাস যাবৎ IMF-এর সাহায্যের আশায় রয়েছে পাকিস্তান। যদিও, এখনও IMF-এর তরফে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং, তারা অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন অন্যান্য দেশের উদ্দেশ্যে লোন প্যাকেজের ঘোষণা করছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তান ও IMF-এর মধ্যে নবম পর্যালোচনা সংক্রান্ত আলোচনার প্রায় দু’মাস পূর্ণ হতে চলেছে।
আর্জেন্টিনাকে সবচেয়ে বেশি ঋণ: গত শুক্রবার IMF-এর কার্যকরী বোর্ড আর্জেন্টিনার জন্য ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের লোন প্রোগ্রামের অংশ। এমতাবস্থায়, বর্তমানে আর্জেন্টিনা IMF-এর কাছ থেকে সবথেকে বেশি সাহায্য পাওয়া দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সাহায্য কার্যক্রমটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে ওই দেশের জন্য মোট ২৮.৯ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড বরাদ্দ করা হয়েছে।
দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯৪.৮ শতাংশ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হল ৫.২ শতাংশ। ২০২১ সালের তুলনায় এই হার অত্যন্ত কম। ২০১০-১১ সালের পর আর্জেন্টিনার অগ্রগতির হার এভাবে ধীর গতিতে ঘটেছে। বর্তমানে ওই দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯৪.৮ শতাংশ। যার ফলে এখন সব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে লাগাম রয়েছে। এদিকে, এক সপ্তাহ আগে ফিচ রেটিং আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রা ঋণকে ডিফল্ট হওয়ার থেকে এক স্তর উপরে নির্দেশ করেছে।
সাহায্য করেছে আমেরিকা: উল্লেখ্য যে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ দু’দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। বাইডেনের সাথে বৈঠকে, তিনি IMF-এর মতো বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ক্ষেত্রে বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান। IMF এবং আর্জেন্টিনার মধ্যে ২০২১ সালের মার্চ মাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৮৩ সাল থেকে ওই সংস্থা এবং আর্জেন্টিনার মধ্যে এটি ছিল ১৩ তম চুক্তি। এই চুক্তির পর মুদ্রাস্ফীতির পুরোনো সমস্যা মোকাবিলায় একটি মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়।