বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেউলিয়া হয়ে যাবে পাকিস্তান (Pakistan)। সৌদি আরব (UAE) টাকার বন্যা বইয়ে দিয়েও বাঁচাতে পারছে না ভারতের পড়শি দশকে। এবার আবারও একটা মারাত্মক ঝটকা লাগল শহবাজ শরিফের। পাকিস্তানকে আর ঋণ দিতে অস্বীকার করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (IMF)। এরপরই পাকিস্তানের (Economic Crisis of Pakistan) পরিস্থিতি আরও ভায়াবহ আকার নিতে চলেছে, এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
জানা যাচ্ছে, আরও ১০০ কোটি লোনের জন্য আইএমএফ-এর কাছে আবেদন করে পাকিস্তান। আইএমএফ পালটা সরকারি বাজেট দেখতে চায়। কিন্তু পাকিস্তান তা পাঠাতে ব্যর্থ হয়। এরপরই মুদ্রা ভান্ডার ঘোষণা করে, পাকিস্তানকে কোনও রকম লোন তারা দেবে না। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সরকারি কর্মচারিদের মাইনে ১০ শতাংশ করে কমানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো সম্পূর্ণ বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে খাবার নেই। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতেও নেই ইলেকট্রিক। অন্ধকারে কাটছে ২৪ ঘন্টাই। এই পরিস্থিতি তে আইএমএফ-র পাকিস্তানকে লোন বা দেওয়ার পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। জানা যাচ্ছে, আইএমএফ থেকে একটি সমীক্ষাকারী দল পাঠাবার অনুরোধ করেন শহবাজ শরিফ। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থা পাক প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধও রাখেননি বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর চলতি সপ্তাহে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৪.৩৪৩ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালে বিদেশি মুদ্রার পরিমাপ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের শুরু এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার। গত বছর আইএমএফ থেকে শুরু করে একাধিক দেশে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু কোনও দেশ থেকেই সাহায্য পায়নি সে।