“টুইট করে আমদানি শুল্ক মকুব করা হবে না”, এলন মাস্ককে কড়া জবাব ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার কর্ণধার এলন মাস্ক গত বৃহস্পতিবার ভারতে তাঁদের গাড়ি লঞ্চ করার প্রসঙ্গে টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।

এই টুইটের ভিত্তিতেই ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একটি সরকারী সূত্র জানিয়েছে, “টেসলা কোম্পানি এই ধরনের টুইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভারত সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং এটি প্রথমবার নয়।”

ভারতীয় কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে, টেসলা ভারতে উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি ছাড়া শুল্ক কমানোর দাবি করতে পারে না। মাস্কের টুইটের সমালোচনা করে, সরকারি আধিকারিকরা তাঁকে প্রথমে ভারতে তাঁর বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি শুরু করতে বলেছেন। তবেই তাঁর কর অব্যাহতির জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

সরকারের সূত্রগুলি বলছে যে, তারা কোনও বিদেশি অটোমোবাইল সংস্থাকে এই জাতীয় ছাড় দেয়না। এমতাবস্থায় যদি টেসলাকে আমদানি-শুল্কর সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে ভারতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগকারী অন্যান্য অটোমোবাইল সংস্থাগুলির কাছে ভালো বার্তা পৌঁছবেনা।

এদিকে, এলন মাস্ক ২০১৯ সাল থেকে ভারতে তাঁর সংস্থার গাড়িগুলি চালু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, ভারতে কারখানা স্থাপন ও আমদানি শুল্ক কমানোর ইস্যুতে আটকে রয়েছে এই গাড়ির লঞ্চ।

tesla news 1

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টেসলার একাধিক মডেলের গাড়ি। কিন্তু ভারতে এখনও এই গাড়ি লঞ্চ না হওয়ার কারণে স্বভাবতই ইলেকট্রিক গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই ট্যুইটারে এক ব্যক্তি এলন মাস্কের কাছে কবে ভারতে টেসলার গাড়ি লঞ্চ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর তার উত্তর দিতে গিয়েই ভারতে এই গাড়ির ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চের আগে ভারত সরকারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তবে ঠিক কোন কোন চ্যালেঞ্জের জন্য ভারতে টেসলার গাড়ির লঞ্চ পিছিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। আর তাঁর এই টুইটেরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর