বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনদরদী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য এই স্কিম চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ৩ বছরে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার এই নিয়ে সামনে আসছে নয়া খবর!
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) এই নিয়মের কথা জানেন?
রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের অধীন সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। রাজ্যের বহু মহিলা বর্তমানে এই স্কিমের সুবিধা পাচ্ছেন। যদিও মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে গেলে উপভোক্তাদের বেশ কিছু নিয়মও মানতে হয়।
চলতি বছর নবান্নের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, যে সকল উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকবে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের পেতে গেলে উপভোক্তাদের এবং আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের আগেই বড় খবর! টেস্ট নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত! নির্দেশিকা জারি পর্ষদের
এদিকে রাজ্য সরকারের এই স্কিমে (Government Scheme) আবেদন করতে গেলে আবেদনকারী মহিলাকে বেশ কিছু নথি দিতে হয়। আবেদনকারীর আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জেরক্স জমা করতে হয়। সেই সঙ্গেই আবেদনকারী মহিলা যদি তফশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হয়, তাহলে সেই শংসাপত্রও জমা করতে হয়। এছাড়া ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের পাসবইয়ের প্রথম পাতার ছবি ও রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবিও জমা করতে হয়। যদিও গত বছর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প যখন চালু হয়েছিল, সেই সময় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা করে পেতেন। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই অঙ্কটা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের ভাতা ২০০ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।