বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন টোকিও অলিম্পিকে গত চার দশকের সবচেয়ে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে ভারত, সাতটি পদক সহ সফর শেষ করেছে ৪৮ তম স্থানে, তখনই অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ফলাফল এবারও ভীষণ হতাশা জনক। গত তিন দশক কোন অলিম্পিক পদক পায়নি পাকিস্তান, শেষবার ১৯৯২ সালে হকিতে পদক জয় করেছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের কোন খেলোয়াড় শেষবার ব্যাক্তিগত ইভেন্টে অলিম্পিক পদক লাভ করেছিল ১৯৮৮ সালে৷ এবার এই নিয়েই ইমরান সরকারের সমালোচনায় মুখর হল পাকিস্তানি জনতা ও সংবাদ মাধ্যম।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে ছিলেন একজন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেন পাকিস্তানের খেলার এত খারাপ অবস্থা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। সমালোচনার মুখে পড়ে এর উত্তরও দিয়েছেন ইমরান। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, অন্য পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে খেলার দিকে সেভাবে নজর দিতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবার অলিম্পিকে মাত্র ২২ জনের দল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে ১২ জনই ছিলেন কর্মকর্তা, খেলোয়াড় মাত্র ১০ জন। এত ছোট দল পাঠানোর নিয়েও এখন রীতিমতো ক্ষুব্ধ জনতা। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা উচিত শুধু অ্যাথলেটিক্স নয় যথেষ্ট খারাপ অবস্থা দলগত খেলার ক্ষেত্রেও। এবার অলিম্পিকে যেখানে ভারতীয় হকি দল ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে, সেখানে কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি পাকিস্তান। দেশের ক্রিকেটার হালতও যথেষ্ট খারাপ।
নীরাজ চোপড়া যে জ্যাভলিন বিভাগে সোনা জয় করেন, সেই বিভাগেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি পঞ্চম স্থানে শেষ করায় পাকিস্তানের শেষ পদক জয়ের আশা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে আর্শাদ এবং নীরজের ট্রেনিং নিয়েও। জানা গিয়েছে নীরজ যেখানে সুইডেনে থেকে অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেখানে আর্শাদ তার প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন করেন ইরান এবং পাঞ্জাবে। যদিও পাকিস্তান জানিয়েছিল, আর্শাদের পেছনে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচা করেছেন তারা, কিন্তু জানা গিয়েছে সে দেশে অলিম্পিক অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বাজেটই মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা। সেই কারণে নীরজ চোপড়া এবং আর্শাদ নাদিমের ট্রেনিং নিয়েও সরকারকে দুষছেন পাকিস্তানি জনতা।