বাংলা হান্ট ডেস্ক: নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খান মঙ্গলবার একটি জনসভা থেকে মন্তব্য করেন শাহাবাজ শরীফ সরকারের উচিত ভারতের সঙ্গে সমস্ত রকম চুক্তি ভঙ্গ করা এবং সমস্ত ভরতীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। ইমরানের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক স্তরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করবে তা বলাই যায়।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই নূপুর শর্মার পয়গম্বর বিরোধী বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। মুসলিম রাষ্ট্রগুলি একজোট হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। কাতার সহ আরব দেশগুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হুমকি এসেছে আল-কায়দা থেকেও। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের সাংসদ গিট উইল্ডার্স থেকে শুরু করে তারিক ফতেহ সমর্থন করেছেন নূপুর শর্মাকে। বিজেপি যদিও ঘটনার দিনই বরখাস্ত করেছে নূপুর শর্মাকে।
এবার এই বিতর্কের আগুনে ঘি দেওয়ার কাজ করলেন প্রাক্তন পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খান। তিনি ইসলামাবাদের আইনজীবীদের একটি সভা থেকে বলেন “এই ‘ইম্পোর্টেড সরকারের’ উচিত মোদির ভারতের সঙ্গে সমস্ত চুক্তি ভেঙে ফেলা।’ গত সোমবারও মোদির প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ইমরান। ট্যুইট করে তিনি বলেন মোদি সরকারের উচিত নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তারা সেটা করেনি বলেই অভিযোগ ইমরানের। ভারতের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের জন্য তিনি সম্পুর্ন মোদি সরকারকে দোষারোপ করেছেন।
ہندوستان میں ہمارے نبی ﷺ کی شان میں گستاخی کی گئی میں مطالبہ کرتا ہوں کہ یہ امپورٹڈ حکومت مودی سے تعلقات چھوڑے اور سخت ترین موقف اپنائے اور ہندوستانی مصنوعات کا بائیکاٹ کرے۔ چیئرمین عمران خان
#امپورٹڈ_حکومت_نامنظور pic.twitter.com/aoYz5p4L6J— PTI (@PTIofficial) June 7, 2022
পিটিআই প্রধান ইমরান খান আন্তর্জাতিক মুসলিম সংগঠন আইওসিকে অনুরোধ করেছেন ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। পাকিস্তানের প্রাক্তন ওয়াজির-ই-আজম ভারতীয় পণ্য বয়কট করারও আহ্বানও দেন। যদিও এই বিষয়ে পাকিস্তানের সরকারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। নয়াদিল্লিও কোন মন্তব্য করেনি ইমরানের এই বক্তব্যের।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহাবাজ শরীফ ট্যুইট করে নূপুর শর্মার বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেন। মহম্মদের বিরুদ্ধে অপমানজনক বক্তব্যকে কখনই বরদাস্ত করা হবে না বলেই মন্তব্য করেন তিনি। নূপুরের বক্তব্য শুধু যে পাকিস্তানের নাগরিকদের আহত করেছে তাই নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত ইসলাম ধর্মের মানুষদেরই অপমান করেছে। এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার বলেই মনে করেন তিনি।