পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে আবারও নিজের মুখ পোড়ানোর কাজ করলেন। আসলে ইমরান খান শ্রীলঙ্কায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করার জন্য পৌঁছেছিলেন বলে খবর সামনে এসেছিল। তবে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে ইমরান খান এমন কান্ড করেন যা ভাবতে পারেনি শ্রীলঙ্কার সরকার।
ইমরান খান শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে সেখানেও ভারত বিরোধী প্রচার শুরু করে দেন। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার মঞ্চকে ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরানোর জন্য কাজে লাগান ইমরান খান। জানিয়ে দি, ইমরান খান শ্রীলঙ্কায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ করতে পারে এই আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ আগেই ইমরান খানের সংসদীয় ভাষণ বাতিল করেছিল।
তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করতে এসেও শ্রীলঙ্কায় নিজের এজেন্ডায় কায়েম থাকতে দেখা ইমরান খানকে। শ্রীলঙ্কায় এসে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে আক্রমন করেন ইমরাম খান, একই সাথে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানান। জানিয়ে দি, এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা কোনোভাবেই তাদের দেশে থেকে ভারত বিরোধীমন্তব্য উঠতে দিতে রাজি নয়। এর মূল কারণ UN মানবাধিকার কমিশন শ্রীলঙ্কার উপর যে ব্যান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছে তাতে একমাত্র ভারত তাদের সাহায্য করতে পারে। শ্রীলঙ্কার আর্মি জেনারেলদের উপর ব্যান লাগু করার চিন্তা ভাবনা করছে UN মানবাধিকার কমিশন। যত শীঘ্রই সম্ভব ব্যান লাগু করার জন্য শ্রীলঙ্কায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছে UN এর মানবাধিকার কমিশন। এই ব্যান থেকে বাঁচতে ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার।
সেহেতু শ্রীলঙ্কার জমিকে ইমরান খানের এভাবে ব্যাবহার ভালো মনে গ্রহণ করতে পারছে না শ্রীলঙ্কার সরকার। এই ইস্যুতে বেশকিছু শ্রীলঙ্কার মিডিয়াও ইমরান খানকে একহাতে নিয়েছেন। দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে এসে অন্য দেশের সমালোচনা করাকে অনুচিত বলে গণ্য করেছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম।