বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের কাশ্মীর যখন স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে ভারতবাসী যখন 370 এবং 35 এ ধারা বিলোপ এরপর উল্লাস। তখনই বিপরীত ছবি ধরা পড়ছে পাকিস্তানে। হ্যাঁ হিন্দুকুশ পর্বতমালা পেরিয়ে যেখানে সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দেওয়ার কথা উঠে সেই জায়গাতেই উঠছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উচ্চস্বর। এটা কোন বানানো গল্প নয় এটাই বাস্তব। পাকিস্তানের মাটিতে। অন্যদিকে, সরকার বিরােধী বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইতে পারে ইমরান সরকার। যে সেনার ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল যথেষ্ট সন্দিহান। প্রয়ােজন মনে করলে তারা সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে পারে।
দলীয় সমাবেশে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানিয়েছেন-, ‘”প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে ইমরান সরকার। হারিয়েছে জনগণের আস্থা। গণতন্ত্রের নামে চলছে কৃত্রিম গণতন্ত্র। আমরা চাই, দেশে আক্ষরিক অর্থে ফিরে আসুক গণতন্ত্র। জনগণের গণতান্ত্রিক আর্থ-সামাজিক। অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরানের ইস্তফা”।
আর এখানে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। যেখানে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশ চালাতে ব্যর্থ সেখানে অন্য দেশএ কি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে তা কি করে সম্ভব!
বিলাওয়ালের নেতৃত্বে করাচি থেকে শুরু হয়েছে সরকার বিরােধী আন্দোলন ‘আজাদি’। পিপিপি নেতার দাবি, সরকার বিরােধী আন্দোলনে সব বিরােধী দলের সমর্থন রয়েছে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সরিয়ে পিএমএল (এন), এএনপি, পিকেএমএপি ‘আজাদি’ অভিযানে সমর্থন করেছেন।