বাংলাহান্ট ডেস্ক : গদি হারানোর পরও যেন ঝামেলা পিছু ছাড়তে চাইছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। এবার আবারও এক গুরুতর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া কয়েক কোটি টাকার উপহার কোনও রকম টাকা না দিয়েই নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনও দেশ থেকে মূল্যবান কিছু উপহার পেলে সেটিকে দেশের কোষাগারেই জমা করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে চান তাহলে নিয়ম অনুযায়ী জিনিসটির দামের ৫০% দেশের কোষাগারে পরিশোধ করতে হয় তাঁকে। কিন্তু ৫০% তো দূর, আর অর্ধেক টাকাও কোষাগারে পরিশোধ করেননি ইমরান খান।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের কোষাগারের আর্থিক বোঝা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করেন ইমরান খান। কিন্তু ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’ এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ১৪ কোটি টাকা মূল্যের তোষাখানা উপহার দুবাইতে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। সেই টাকাও রেখেছেন নিজের কাছেই।
এখনেই শেষ নয়, অভিযোগ একাধিক বহুমূল্য উপহার জলের দরে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে এই উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে একটি রোলেক্স ঘড়ি, একজোড়া কাফলিঙ্ক, একটি আংটি, একাধিক নেকলেস, একাধিক ব্রেসলেট এবং কানের দুল। এই সমস্ত জিনিস মাত্র ১ কোটি টাকার বিনিময়ে নিজের কাছে রেখে দেন ইমরান খান। কিন্তু জিনিস গুলির আসল মূল্য দুই কোটি টাকারও বেশি বলেই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এছাড়াও ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে একটি ৩০ লক্ষ টাকার রোলেক্স ঘড়ি মাত্র ৭লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার বিনিময়েই পকেটস্থ করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও দীর্ঘ এই উপহার নিজ পকেটস্থ করার তালিকা। একটি ১৫ লক্ষ টাকার রোলেক্স ঘড়ি মাত্র ২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা দিয়েই পকেটে পোরেন তিনি। এছাড়াও অন্য আর একটি রোলেক্স ঘড়ি এবং আইফোন ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬০০ টাকার বদলেই নিজের কাছ্র রেখে দেন ইমরান, যেখানে ওই জিনিসগুলির দাম ছিল ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি।
অভিযোগ ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি মাত্র ৩.৮ কোটি টাকার বিনিময়েই নিজের কাছে আটকে রেখেছেন ইমরান খান। এছাড়াও কোনও টাকা না দিয়েই রেখেছেন ৮ লক্ষ ২০০ টাকা মূল্যের অন্যান্য উপহার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে সেদেশ জুড়ে। গদিচ্যুত হওয়ার পরও আবারও বিপাকে পড়ে কী পদক্ষেপ নেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তাই এখন দেখার।