একজন লোকতান্ত্রিক দেশের নির্বাচিত নেতা ও একজন জনগণের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নেতার মধ্যে পার্থক্য দেখতে হলে UNGA এর ভাষণ দেখা উচিত। UNGA এর ভাষণ দুই ধরনের নেতাদের পার্থক্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। যেখানে একদিকে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী তো অন্যদিকে দিয়েছেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণ একজন পরিপক্ব দক্ষ নেতার পরিচয় দিয়েছে তো অন্যদিকে ইমরান খানের ভাষণ অপরিপক্ক, জেহাদী উগ্র ইসলামিক মানসিকতা সম্পন্ন নেতার পরিচয় দিয়েছে।UNGA তে প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী ভবিষ্যতের সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা বলেন। ভারত কিভাবে সমস্যাগুলির সমাধান করছে তার উপর ব্যাখ্যা করেন।
কারণ UNGA এমন একটা মঞ্চ যেখানের নেতারা নতুন করে কোনো সমস্যা নয়, সমাধান শুনতে চাই। অন্যদিকে ইমরান খান তথা পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইসলাম, ভারত, মোদী ইত্যাদি দিয়েই প্রাপ্ত সময়ের থেকে বেশি সময় নিয়ে ভাষণ দেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভাষণ শেষ করেন। ভাষণ দেওয়ার মুহূর্তে ইমরান খান HOWDI MODI তো আমেরিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর মন্তব্য করেন। যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আমরা উগ্র ইসলামিক আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। ইমরান খান এর উপর মন্তব্য করে বলেন উগ্র ইসলাম বলে কিছু হয় না। ইসলাম একটাই হয়, উগ্র ইসলাম বলে কিছুই হয় না।
ইমরান খান তার ভাষণে পুরো বিশ্বকে এটা বোঝাতে চান যে উগ্র ইসলাম বলে কিছুই হয় না, উল্টে মুসলিমদের উপর ভারতে অত্যাচার করা হয়। অবশ্য ইমরান খান চীনের অত্যাচারীত মুসলিমদের কথা এক বারের জন্যেও বলেননি। অন্যদিকে মোদী কাশ্মীর, পাকিস্তানের বিষয়ে কিছু না বলে প্লাস্টিক, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি নিয়ে ভাষণ দেন। একই সাথে নরেন্দ্র মোদী বলেন ভারত এমন এক দেশ যা বিশ্বকে বুদ্ধ দেয়, যুদ্ধ নয়। তবে ইমরান খান উগ্র ইসলামকে নাকচ করলেও জিহাদের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অমুসলিমদের প্রায় শেষ করে দেওয়া হয়েছে তা পুরো বিশ্ব জানে।
নব্বই এর দশকে কিভাবে জিহাদ করে কাশ্মীর থেকে হিন্দু পন্ডিতদের তাড়িয়ে দিয়েছে তাও উগ্র ইসলামিকতার বড়ো উদাহরণ। ইমরান বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম চলুন আমরা একসাথে কাজ করি। কিন্তু মোদী উল্টে আমাদের উপর বোমা ব্লাস্ট করে দেয়। যদিও ইমরান খান এর আগে বলেছিলেন যে মোদী আমার ফোন ধরে না। তাহলে প্রশ্নঃ উঠছে যে, কিভাবে ইমরান খান মোদীকে একসাথে কাজ করার আমন্ত্রণ করেছিল। জাতিসংঘে ইমরান খান বলেন আমাদের কাছে উপায় না থাকলে যুদ্ধ ছাড়া উপায় নেই কারণ আমরা জানি লা ইলাহা ইল্লালা- একজনই আল্লাহ আছে।