বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন অভিযোগে বিদ্ধ পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের থেকে পাওয়া উপহার তিনি নাকি বিক্রি করে দিয়েছেন। দেশবাসীর আস্থা হারিয়েই প্রধানমন্ত্রীর গদি হারিয়েছেন ইমরান। আর গদিচ্যুত হওয়ার পরই তাঁর সম্পত্তির হিসাব নিকাশ শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি এক স্থানীয় ঘড়ি ব্যবসায়ীর কাছে ইমরান তিনটি উপহার পাওয়া ঘড়ি বিক্রি করে মোট ৩৬ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে রোজগার করেন।
কী অভিযোগ?
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিগত সাড়ে তিন বছরে তিনি বিশ্বের বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে মোট ৫৮টি উপহার পেয়েছিলেন। যে তিনটি ঘড়ি ইমরান খান বিক্রি করেছেন সেই তিনটি ঘড়ির মূল্য প্রায় ১৫৪ মিলিয়ন ডলার। সিংহাসন হারানোর পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়ে যায়। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইমরান খান ১৪ কোটি টাকা মূল্যের মোট ৫৮টি উপহার পেয়েছিলেন, যা একের পর এক নাকি দুবাইয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
কী কী উপহার পেয়েছিলেন ইমরান?
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইমরানের কাছে যে বহুমূল্য উপহারগুলি রয়েছে সেগুলি হলো রোলেক্স ঘড়ি, দুটি কাফলিঙ্কস, একটি বহুমূল্য আংটি ও একটি বাক্স, যার ভিতরে গলার হার, ব্রেসলেট ও একজোড়া কানের দুলও রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ২.৩৫ কোটি টাকা বলে অনুমান করা যায়। অন্যান্য উপহারগুলির মধ্যে রয়েছে আরও একটি রোলেক্সের ঘড়ি, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা।
কী বলছেন শাহবাজ শরিফ?
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, এই সমস্ত উপহারগুলির মধ্যে সব থেকে দামি উপহারগুলিই ইমরান অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন দুবাইয়ে। পাকিস্তানের নিয়ম অনুসারে, যখন অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী বা বিভিন্ন সরকারি পদস্থ ব্যক্তিরা উপহার পান, তা দেশের সম্পত্তি হিসাবেই গণ্য হয়। এবং সেগুলির স্থান হয় দেশের ভাণ্ডার বা ট্রেজারিতে। যদি কেউ সেই উপহারগুলি নিজের কাছে রাখতে চান, তবে তাঁকে ওই উপহারের মূল্যের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরকারের কাছে জমা রাখতে হয়।
জানা যাচ্ছে, ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই হার ছিল ২০ শতাংশ, অর্থাৎ উপহার বাবদ পাওয়া সামগ্রীগুলির দামের মাত্র ২০ শতাংশ দিয়েই তা নিজের কাছে রেখেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এবার তার মধ্যে ওই তিনটি ঘড়ি স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেই বিপাকে ইমরাম খান।