BMW গাড়ি, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ধর্মদ্রোহের অভিযোগে ঈদের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান খান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামীকাল ঈদ উৎসব আর তার আগেই সদ্য পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ানো ইমরান খানের গ্রেফতারির জল্পনা ছড়ালো গোটা দেশজুড়ে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এদিন ইমরানের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহের অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেফতারির জল্পনা আরো উস্কে দিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনার সানাউল্লাহ।

সদ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে ইমরান খানকে। দেশে একাধিক বিতর্ক মাঝে শেষ পর্যন্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। ইমরানের জায়গায় বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরীফ। সেই ঘটনার বেশিদিন হয়নি আর তার মাঝেই হঠাৎ ইমরানের বিরুদ্ধে এমন কি অভিযোগ উঠল যাতে তাঁর গ্রেফতারের খবর সামনে আসছে?

রানা সানাউল্লাহ বলেন, “গত বৃহস্পতিবার পবিত্র মদিনায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্লোগান দেয় ইমরান খানের সমর্থকরা। শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়। ধর্মীয় স্থানে এমন ঘটনা আমরা কোন মতেই বরদাস্ত করবো না।” এই ঘটনায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে আর এই কারণেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার হতে পারেন বলে মত পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

ধর্মদ্রোহের পাশাপাশি ইমরান খানের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ঔরঙ্গজেব ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর ইমরান খান বর্তমানে একটি BMW X5 গাড়ি এবং বিদেশ থেকে পাওয়া একটি বন্দুক আত্মসাৎ করেছেন।” এছাড়াও তিনি বলেন যে, বিএমডব্লিউ গাড়িটি প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী অফিসের। ইমরান খান দেশের প্রধান থাকাকালীন 2016 সালে প্রায় 3 কোটি টাকা দিয়ে এটি কেনা হয়। পরবর্তীকালে গাড়ির পেছনে একাধিক খরচ করা হয় এবং সব মিলিয়ে বর্তমান বাজারে প্রায় 15 কোটি টাকা দামের এই গাড়িটি তিনি নিজের দখলে রেখে দিয়েছেন।

পাকিস্তান সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের যেকোনো কর্মকর্তাদের উপহারে পাওয়া কোন জিনিস তোশাখানায় জমা রাখতে হয়। যদি কেউ সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে চান, তবে তার অর্ধেক মূল্য দিয়ে সেই জিনিস নিজের কাছে যেকেউই রাখতে পারেন।তবে, কোনো উপহার কিংবা উপহার বাবদ মূল্যের অর্ধেক যদি কোনো ব্যক্তি জমা রাখতে ব্যর্থ হয় তবে এটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে, প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর পর তিনি নিজের কাছে রাখা উপহারের মূল্য বাবদ মাত্র কয়েক লক্ষ টাকাই জমা করেছেন।

এছাড়াও পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বিদেশী কূটনীতিকদের কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তির আনুমানিক প্রায় 14 কোটি টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন ইমরান। এরপর পাকিস্তানের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে বর্তমানে একাধিক মামলায় জর্জরিত ইমরান খানের শেষ পর্যন্ত জেল হেফাজত হয় কিনা, সেটাই এখন প্রধান প্রশ্ন।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর