বাংলাহান্ট ডেস্ক : চরম অনিশ্চয়তার মুখে ইমরান খানের গদি। বিরোধীদের অনাস্থার মুখে পড়ে এবার কি তবে টলতে চলেছে পাকিস্তানের মসনদ? জানা যাচ্ছে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপিলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ। এই দুই দলের প্রায় ১০০ জন সাংসদই সায় দিয়েছেন অনাস্থায়। ফলে এবার স্পিকারের হস্তক্ষেপে সংসদে পেশ করা হবে এই অনাস্থা প্রস্তাব।
বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে চরম দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ইমরান খানের শাসন কালে মুদ্রাস্ফীতি ছাড়িয়েছে সমস্ত রেকর্ড। ঋণের বোঝা এতটাই যে সম্পূর্ণ ভাবেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানি অর্থনীতি। আর এবার এই ইস্যুটিকে অস্ত্র করেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদেরকেও পদত্যাগ করতে হবে।
পাকিস্তানে কোনও দলের ৬৮ জন সাংসদের সমর্থন না থাকলেই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার অনুমতি দেন স্পিকার। এমন পরিস্থিতিতে এখন বিরোধীদের দাবি যে যথেষ্ট পরিমান সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। যোগাযোগ করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাদের সঙ্গেও।
যদিও এই অনাস্থাতে স্বীকার করতে নারাজ ইমরান খান। তাঁর দাবি, ‘আমার সরকার সম্পূর্ণ নিরাপদ। সেনাবাহিনীরও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আগামী দিনেও আবারও নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছি আমি।’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সেনাবাহিনী আমার পাশেই রয়েছে। সেনা কখনও চোরদের সমর্থন করবে না। এখন তো মানুষ বিরোধী দলগুলিকেও সমর্থন করে না।’
পাক প্রধানমন্ত্রীকে আরও দাবি করতে শোনা যায়, বিরোধীরা তাঁর দলের নেতাদের ১৮০ মিলিয়নের লোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই টাকা গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে। তিনি তাঁর আমলে কাউকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেননি বলেও দাবি করেন ইমরান খান।
ইমরানের আমলে পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতি এবং অন্যান্য সমস্যার কথা সর্বজনবিদিত। এর আগেও চিনের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্থান।একেই এহেন মুদ্রাস্ফীতি, তার উপর বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক, তারই মধ্যে বিরোধীদের অনাস্থা! সব মিলিয়ে যে বেশ ভালোই বিপাকে পড়েছেন ইমরান খান তা বলাই বাহুল্য। তবে কি টলতে চলেছে ইমরানের মসনদ? তেমনটাই অবশ্য মত বিশ্লেষক মহলের।