বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মাসে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মুক্তির দাবিতে দেশের রাজধানী ইসলামাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। রাজধানীর অভিমুখে মিছিল করার ঘোষণার পর ইমরান খানের সমর্থকদের থামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রশাসন। এদিকে, এই হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে ভীত সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিল। ওই বিক্ষোভে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এখন ইমরান খান হিংসার পথ ছেড়ে অন্যদিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার জেল থেকে বার্তা দিয়ে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান।
আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান খান (Imran Khan):
বৃহস্পতিবার ইমরান খান (Imran Khan) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ এক পোস্টে বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি তাঁর সমর্থকদের আগামী ১৩ ডিসেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে জড়ো হতে বলেছেন। যেখানে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে দু’টি দাবি তুলে ধরেছেন এবং সেই দাবিগুলি মানা না হলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
Pakistan’s jailed former PM Imran Khan threatens civil disobedience movement https://t.co/orrwbX4Rb7 pic.twitter.com/O4gyBj12MY
— Reuters (@Reuters) December 6, 2024
ইমরান খান (Imran Khan) লিখেছেন, “দেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিরীহ রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি করা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মীদের শহিদ করা হয়েছে। আমাদের শত শত কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজর দেওয়া এবং সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং বর্তমানে দেশটি এই পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।”
আরও পড়ুন: বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি! ক্রিজে এবার দাপট দেখালেন KKR-এর এই প্লেয়ার, IPL-এ উঠতে চলেছে ঝড়
তিনি (Imran Khan) আরও লিখেছেন, “শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করব। এতে অংশ নিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।” এর পাশাপাশি, তিনি বিক্ষোভের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। এছাড়াও, ইমরান গ্রেফতার করা সকল শ্রমিকের মুক্তিরও দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই দু’টি দাবি পূরণ না হলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হবে এবং যেকোনও পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।”
আরও পড়ুন: সব বোলারদের পেছনে ফেললেন অপ্রতিরোধ্য বুমরাহ! অ্যাডিলেড টেস্টে গড়লেন দুর্ধর্ষ নজির
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইমরান খান (Imran Khan) গত বছরের শেষ থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি এবং তাঁর দল বলেছে যে ২০২২ সালে তাঁকে পদ থেকে অপসারণের আগে সেনা জেনারেলদের সাথে তাঁর মতপার্থক্যের কারণে তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য সেনাবাহিনীর নির্দেশে মিথ্যা মামলাগুলি তৈরি করা হয়। তবে, সেনাবাহিনী এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।