বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইমরান খানের (Imran Khan) আমলে তলানিতে পৌঁছেছিল চিন (China) – পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্ক। মন্ত্রী এহেসান ইকবাল দাবি করেন চিন ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নতুন কোনও অর্থনৈতিক পরীক্ষা করতে চিন পাকিস্তানের তৎকালীন সরকারকে নিষেধ করেছিল। শনিবার রাতে একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমনই দাবি করেন।
এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন, ইকবাল ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসিতে নাশকতার জন্য তৎকালীন পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর নেতৃত্বাধীন ইমরান খানের সরকারকেই দোষারোপ করেন।
নতুন কোনও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে একাধিকবার পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে চিন। একটি সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতাকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে চিন কূটনৈতিকভাবে কোনো নতুন পরীক্ষা না করতেই নিষেধ করেছিল তৎকালীন পাক সরকারকে।
চিন জানিয়েছিল নতুন পরীক্ষা সিপিইসির ক্ষতি করেছে। পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার চিনকে আশ্বস্ত করে জানায় ক্ষমতায় যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা সিপিইসির কোনও সমস্যা তৈরি করবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রীর ইকবাল চিনকে অনুরোধ করেন পাকিস্তানের নির্বাচনে যেন হস্তক্ষেপ না করেন। মন্ত্রী আরও জানান, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে নীতির ধারাবাহিকতার ওপরই জোর দেবে পাক সরকার। ইকবাল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে সিপিইসি প্রকল্পকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন যে প্রকল্পের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। পশ্চিমা দেশগুলির মিডিয়া ইমরান খানের দলের নেতাদের বিতর্কিত বিবৃতিগুলিকেই প্রকাশ করেছে সকলের সামনে।
মন্ত্রী বলেন, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় মন্ত্রী থাকা মুরাদ সাঈদ তার বিরুদ্ধে সিপিইসি সংক্রান্ত দুর্নীতির ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন। ইকবালের দাবি তৎকালীন ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা