বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত (India) সরকারের গৃহীত এক পদক্ষেপে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan)। ভারতে কয়েকজন উচ্চপদস্থ পাক কর্মী গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ভারত সরকারের হাতে ধরা পড়েছিল। এই কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে পাকিস্তানী উচ্চপদস্থ কর্মীদের গোয়েন্দাগিরি
ভারত সরকার জানিয়েছিল, পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের গতি বিধি সম্পর্কে বহুবার ভারত তাঁদের সতর্ক করেছে। কিন্তু তারা লাগাতার আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এবং এই সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসাবেই কাজ করে চলেছেন। বহুবার তাঁদের সতর্ক করার পরও তারা কিছুতেই তাঁদের স্বভাব বদলাতে পারেনি। গত ৩১ শে মে তাঁদের কুকর্মের জন্য তারা হাতে নাহাতে ধরা পড়ে ভারতের কাছে।
কর্মীদের উপর অত্যাচার
সম্প্রতি ভারতের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মীদের পাকিস্তান থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে সূত্র মারফত জানা যায়, ওই আধিকারিকদের অপহরণ করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালায় পাকিস্তান সরকার।
কর্মী সংখ্যা কমানো হয় ৫০ শতাংশ
ভিয়েনা সন্ধি উলঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারত সরকার সব দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, দিল্লীতে অবস্থিত পাকিস্তানী উচ্চপদস্থ কর্মীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কম করা হবে। তেমনই অপরদিকে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতের উদ্দপদস্থ আধিকারিকদের সংখ্যাও ৫০ শতাংশ কম করা হবে। বিদেশ মন্ত্রালয়ের প্রবক্তা অনুরাগ শ্রীবাস্তব সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত সকলের সামনে পেশ করেছিলেন। সরকারের নির্দেশ অনুসারে, ভারতের থেকে পাক উচ্চপদস্থ কর্মীদের সংখ্যা ১১০ থেকে কমিয়ে ৫৫ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
পাকিস্তান থেকে ফিরছেন উচ্চপদস্থ ভারতের কর্মীরা
মঙ্গলবার বাগা বর্ডার হয়ে বেশ কয়েকজন ভারতীয় রাজদূতসহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক এবং তাদের পরিবারের লোকজন পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসছে। ভারত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের জেরেই প্রায় ৩৮ জন ভারতীয় নাগরিক, যারা পাকিস্তানের বিভিন্ন উচ্চ পদে অবতীর্ণ ছিলেন, তারা ভারতে ফিরছেন। আবার দিল্লীতে পাকিস্তানী উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের মধ্যে থেকে ১৪৩ জন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানে ফিরে যাবেন।