গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল- এই অবস্থা এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যুতে তেমন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। তাই আন্তর্জাতিকভাবে ইরান-সৌদি আরবের অব্যাহত উত্তেজনা কমিয়ে এনে জন্য মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে এখন কিছু সান্ত্বনা পুরস্কার জয়ের সুযোগ খুঁজছেন ইমরান খান। এমনিতেও পাকিস্তান সরকারের একটা খারাপ ছবি বিশ্বমঞ্চে তৈরি হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক ভুমিকা দেখিয়ে সেটাকে শোধরানোর চেষ্টা করছেন ইমরান খান। UNGA তে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান খান একজন আতঙ্কবাদী নেতার মতো ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে উনাকে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। তাই এখন নিজের ছবি ঠিক করতে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকে শান্ত করতে নেমে পড়েছেন ইমরান খান।
প্ৰথমত জানিয়ে দি, ইরান একটা সিয়া মুসলিম দেশ অন্যদিকে সৌদি আরব সুন্নী মুসলিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে এখন চরম দ্বন্দ চলছে। সৌদি আরবে দুটি প্লান্টে যে আক্রমন হয়েছে সেটাকে কেন্দ্র করেই দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েল ইরানকে এই হামলার জন্য দায়ী করছে। যদিও দুটি দেশের মধ্যে এমনিতেও উত্তেজনা লেগেই থাকে। রবিবার তেহরান পৌঁছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানির সাথে সাক্ষাত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে শান্তিরক্ষকের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখনপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু প্রশ্নঃ উঠেছে পাকিস্তান তো নিজেই কথায় কথায় পরমানু হামলার হুমকি দেয়। এমত অবস্থায় কিভাবে ইমরান খান উত্তেজনা কমাতে পারবেন। তাই ইমরান খানের মধ্যস্থতা করানোর এই পরিকল্পনা বিফল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এমনিতেই সৌদি আরব ইমরান খানের উপর আগে থেকেই আক্রোশিত হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, বিশ্বসমূহের পরিস্থিতি বর্তমানে মোটেও ভালো নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে উত্তেজনার অবস্থা তৈরি হচ্ছে যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে।