বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৯৬৭ সালে ভারত (India) চীনকে পরাজিত করে দেখিয়েছিল, চীনও হেরে যেতে পারে। সিকিম-তিব্বত সীমান্তের কাছে নাথুলা পাসের কাছে যুদ্ধে চীনের প্রায় ৩০০ সেনা নিহত হয়েছিল। কিন্তু সেই তুলনায় ভারতের মাত্র ৬৫ সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর প্রাক্তন মেজর জেনারেল ভি কে সিং ‘দ্বাদশ সৈন্যদের জীবনী’ নামে একটি বই লেখেন। যেখানে এই যুদ্ধে ভারতের বীরের মতো জয়লাভের প্রতিটি বিষয় পর্যালচনা করা আছে।
ভারত-পাক যুদ্ধ
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে পাকিস্তান পরাজিত হয়ে চীনের সাহায্য প্রার্থী হয়। তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রপতি জেনারেল আইয়ুব খানের নেতৃত্বে ভারতকে বিপদে ফেলতে সিকিম-তিব্বত সীমান্তের কাছে নাথুলা পাসের সংঘর্ষ হয়। চীন সিকিম সীমান্তের নিকট নাথুলা পাস এবং জেলিপ লাতের থেকে ভারতকে সরে যাওয়ার বার্তা দেয় চীন। তখন কর্পস সদর দফতরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিজি বেভোর সাগত সিং-র নেতৃত্বে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত।
যুদ্ধের বিষয়বস্তু
নাথুলা হিমালয় অঞ্চলের একটি পর্বতমালা সিকিম এবং চুম্বি উপত্যকাকে সংযুক্ত করে ভারত এবং তিব্বতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত। সিকিমের রাজধানী গাঙ্গটকের প্রায় ৫৫ কিমি পূর্বে ছিল এই নাথুলা পথ। ১৯৬৫ সালে যখন ভারত যখন নাথুলা ফাঁড়ি ফাঁকা করতে গররাজী হয়, চীন নাথুলা ফাঁড়ির সংলগ্ন এলাকায় অনেক লাউডস্পিকার স্থাপন করে। তারা ভারতের সৈন্যদের উপর অত্যাচার করে তাঁদের কম বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখত।
এখানেই শেষ নয়, তারা ভারতীয়দের হুমকি দেওয়ার জন্য কড়া বার্তা রেকর্ড করে, লাউড স্পীকারে প্রচার করত। পরবর্তীতে চীনা সেনারা উত্তর সিকিমের ১৭ আসাম রাইফেলসের টহল আক্রমণ করে দু’জন জওয়ানকে হত্যা করার পর সাগত সিংহ-এর প্রতিশোধ নিতে উঠে পড়ে লেগে যায়।
পাল্টা আক্রমণ করে ভারত
কথা মতো শুরু হয় কাজ। ভারতীয় সেনারা স্থির করে নাথুলা থেকে সেবুলা পর্যন্ত ভারতীয় চীন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হবে। প্রতিবাদে চীন সেনারা বাঙ্কার থেকে ভারতীয় সেনাদের উপর গুলি বর্ষন শুরু করে। শুরু হয় যুদ্ধ। টানা তিন দিন ধরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পর, পরাজিত হয় চীনা সেনা। যুদ্ধের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ভঙ্গও করেন সাগত সিং। যুদ্ধ পরবর্তীতে তাঁকে বদলি করার খবরও শোনা গিয়েছিল।