বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই সফর ঘিরে বাংলাদেশ বেঁধে ছিল তুলকালাম কাণ্ড। দেশের সর্বত্র ছড়িয়েছিল হিংসা। এবার সেই হিংসার দায় অস্বীকার করল চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠন ‘হেফাজতি ইসলামী’। সেসময় দেশের সর্বত্র যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল তাতে ‘হেফাজতে ইসলামী’র কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করলেন সংগঠনের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর বিরোধিতার অছিলায় হেফাজতে ইসলামীর লক্ষ্য ছিল হাসিনা (Sk Hasina) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার। এই চাঞ্চল্যকর ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছে খোদ ওই কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠনের প্রধান মইনুল হক। তাঁদের উদ্দেশ্য, পাকিস্তানের ‘তেহরিক-ই-লাবাইক’ নামের জেহাদি সংগঠনের ন্যায় পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশকেও (Bangladesh) গড়ে তুলতে চায়। যার পিছনে মদত রয়েছে জামাত শিবিরের।
এবার সেই ‘হেফাজতে ইসলামীর’ প্রধান মইনুল হকের ব্যংক একাউন্টে পাওয়া গেল ছয় কোটি টাকার আর্থিক লেনদিনের তথ্য। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, ‘এই কট্টরপন্থী সংগঠনের জন্য অর্থের যোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৩১৩ জনকে। উল্লেখ্য, মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে ওপার বাংলায় যে বিক্ষোভ ঘটনা ঘটে ছিল, তাতে প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত ধরপাকড় অব্যহত রয়েছে।
তারই মধ্যে হেফাজতে প্রধান মইনুল হকের একাউন্টে এত টাকার লেনদেন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠল সেদেশের প্রশাসনের। জানিয়ে দি, বাংলাদেশ বিক্ষোভ কাণ্ডে গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মইনুলকে। যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে প্রায় ১৮টি। তারপর কয়েকদিন আগেই উদ্ধার হয় মইনুলের ফোন। সেখান থেকেই জানা যায় যে, তাঁর কাছে দেশবিদেশ থেকে টাকা আসত।