বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৭০ বছর বয়সী প্রাক্তন অধ্যাপক জীবন শুরু করলেন নতুনভাবে। তিনি বিয়ে করলেন ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে। এই বিয়ের কথা শুনে বহু মানুষই অবাক হয়েছিলেন। আড়ালে আবডালে হাসি ঠাট্টা করেছিলেন এই বিয়ে নিয়ে। কিন্তু সেই সব কথাকে তোয়াক্কা না করে ৭০ বছর বয়সী প্রাক্তন অধ্যাপক আলহাজ হাওলাদার শওকত আলীর সাথে বিবাহ বন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হন শাহিদা বেগম।
বাংলাদেশের (Bangladesh) বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামে শনিবার বসে এই বিয়ের আসর। এই বিয়েতে দুই পরিবারের অতিথিরা উপস্থিত থেকে ১০ লাখ ১ টাকা দেনমোহরানায়, বিয়ে দেন এই নবদম্পতির। বিয়ে হয় দুই পরিবারের সম্মতিতেই। জানা গিয়েছে, একটি সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন শওকত। খুব ছোট বয়সে হারান বাবাকে। তারপর ছোট বয়স থেকেই চলে সংসার সংগ্রাম।
দুজনের বয়সের পার্থক্য (Age Difference) থাকা সত্ত্বেও এই বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের লোকেরাও কোনও আপত্তি করেননি। ভাই-বোনদের মানুষ করার জন্য আলাদা করে নিজের কথা ভাবার সময় পাননি শওকত। অধ্যাপনার চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর একাকীত্ব তাকে গ্রাস করে। তখন তিনি ভাবেন বাকি জীবনটা নতুনভাবে শুরু করা যেতে পারে। এরপর পরিবারের সম্মতিতে শুরু হয় পাত্রী খোঁজা।
পারিবারিক সূত্রে আলাপ হয় শাহিদার সাথে। ৩৫ বছর বয়সী শাহিদার স্বামী কিছুদিন আগে মারা গেছেন। একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। শওকতের ভাই আব্দুল হালিম খোকন বলেছেন, আমরা ছোটবেলা থেকে দাদার কাছেই মানুষ হয়েছি। আমাদের জন্য লোকটা সারা জীবন বিয়ে করেনি। এখন আমরা আমাদের কাজের জন্য দাদাকে সময় দিতে পারি না। তাই আমরা জোর করি বিয়ের জন্য।
অন্যদিকে, পাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শওকত খুব ভালো মানুষ। যথেষ্ট সুনাম রয়েছে এলাকায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আসলে আমরা আমাদের মেয়েকে জানাই। এরপর আমাদের মেয়ে তার জীবন সংগ্রাম শুনে আর কোনও আপত্তি করেনি। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সব মিলিয়েই, এই ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে।