ভারতের বিহার রাজ্যে মদ বিক্রি ও পানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কে কেন্দ্র করে লড়াই চলার পর বিহারের হাইকোর্ট উত্তরাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে মদ বিক্রি ও পানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়।কিন্তু এরপরে মদ নিয়ে এই সরকার কঠোর এ্যালকোহল-বিরোধী আইন করছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, তিনি এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ‘সমাজের কল্যাণ করবেন।’
এই আইনে কোন বাড়িতে মদ পাওয়া গেলে সে বাড়ির সকল প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দার গ্রেফতার ও বর্ধিত মেয়াদের জেল হবে।এরপর নিষেধাজ্ঞার পর প্রচুর লোককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আবার সেই ইতিহাস যেন চাঙ্গা হয়ে উঠলো, এবার ডাবের ভেতর তেকে পাওয়া গেলো মদ। ফের লুকিয়ে নির্বিকারে বিক্রি হচ্চে মদ। তাও আবার ডাবের মধ্যে। কিছুদিন আগেই বিহারের নওদায় ডাবের জন্য কার্যত হাহাকার লেগে গিয়েছিল।
এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে অবাক হয়ে যান । কারন চোরা চালানকারিরা ডাবের মধ্যে করে মদ বিক্রি করছিলেন। আর এভাবেই নওদা জেলায় ডাবের আড়ালেই চলত মদ বিক্রি। আসলে ডাবের মধ্যে মদ ঢেলে চলছিল বেআইনি বিক্রি। অভিযানে নেমে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করে বিহার পুলিশ। এই ঘটনায় সাম্লাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ থেকে প্রশাসন। নওদা নগর থানার ইনচার্জ সঞ্জীব কুমার জানান, প্রজাত্রী চকের কাছে নারকেল জলের আড়ালে মদ বিক্রি করা হচ্ছিল।
প্রায় ২০০ লিটারের ১৬টি পাউচ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে সাত বোতল দেশি মদ। চোরা চালানকারিরা নাকি এভাবেই অনেকদিন ধরে মদ বিক্রি করে চলছিলেন, কিন্তু তারা ধরা পরেন নি। কিন্তু ডাবের আকাল পড়তেই শুরু হয় রহস্য। আর সেই রহস্যের প্রশ্ন খুজতেই পুলিশ খুজে পায় এই চোরা কাজ কারবার। আপাতত এখন কিছুটা হলেও বিক্রি কমাতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু তা রাশ টানার জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার।