বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিহারের (Bihar) কোয়ারেন্টিন ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) বিতরণ করা হচ্ছে গর্ভনিরোধক (Contraceptives)। গোপালগঞ্জে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ করে যে সকল শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন, তাঁদেরকে এই গর্ভনিরোধক দেওয়া হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত বাসনা চরিতার্থ করতে গিয়ে অযাচিত গর্ভাবস্থা রোধ করতে এই পদক্ষেপ নিল বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভিন রাজ্য থেকে দেশের ভিটেয় ফিরে করোনাকে হার মানাতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরছেন বহু শ্রমিক। এই সময়ে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়ে যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়, সেই কারণেই এই গর্ভনিরোধক বিলি করা হচ্ছে।
দেওয়া হচ্ছে গর্ভনিরোধক
রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ ফিরে আসা শ্রমিকদের মধ্যে থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮.৭৭ লক্ষ শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ সম্পন্ন করেছেন। এখনও প্রায় ৫.৩০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ”১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সময় অতিক্রম করে শ্রমিকরা এখন নিজেদের বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি ফিরে যাতে তারা অবাঞ্ছিত গর্ভবস্থায় জড়িয়ে না পরে, সেই কারণেই তাঁদের গর্ভনিরোধক দেওয়া হচ্ছে”।
পরিবার পরিকল্পনার স্বার্থে এটি করা হচ্ছে
রাজ্য স্বাস্থ্য সোসাইটির পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন,’ নিখুঁতভাবে একটি পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থার সাথে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নেই। একজন স্বাস্থ্য বিশরদ হিসাবে এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্ব। সেই কারণেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি’।
এমনকি একসঙ্গে দুটি করেও দেওয়া হচ্ছে গর্ভনিরোধক
আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার জানিয়েছেন ১৫ ই জুনের পর আর কোন কোয়ারেন্টিন সেন্টার থাকবে না এবং কোন পরিযায়ী শ্রমিকদের আর পৃথক ভাবে থাকতে হবে না। সেই কারণে তারা বর্তমানে দুটি করে গর্ভনিরোধক বিলি করছে। পাশাপাশি আশা সংস্থার কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাপীয় স্ক্রীনিং-এর সময় গর্ভনিরোধক দিয়ে আসছেন। এবং মহিলাদেরকেও এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়েও আসছেন। গোপালগঞ্জের ডিএম আরশাদ আজিজ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৪৭০ জন মহিলাকে এই গর্ভনিরোধক বড়ি দেওয়া হয়েছে।