বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোটি কোটি টাকার আম ঝুলছে গাছে। বীরভূমের (Birbhum) রাজনগরের বাসিন্দা মান্নান খানের তাই এখন উড়ে গিয়েছে ঘুম। কিছুদিন আগে জাপানি আম মিয়াজাকির খোঁজ মেলে বীরভূমের দুবরাজপুরে মসজিদে। এবার একাধিক এই প্রজাতির আমের সন্ধান মিলল বীরভূমের রাজনগরের বাসিন্দা মান্নান খানের বাড়িতে।
এখন সবাই এই প্রজাতির আমের দাম ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে সচেতন। এর ফলে বিরম্বনা বেড়েছে মান্নানের। দুবরাজপুরের মসজিদে জাপানি প্রজাতির মিয়াজাকি আমের গাছ পাওয়ার পর রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাই এখন ওই জেলার সবাই এই প্রজাতির আমের দাম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
আড়াই লাখ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয় এই আম। এই খবর জানার পরই রীতিমত চিন্তায় মান্নান। বছর দশেক আগে মান্নানের এক বন্ধু তাকে দশটি মিয়াজাকি গাছের আমের চারা এনে দেন। সেই চারাগুলি মান্নান তার বাড়ির জমিতে লাগান। দশটার মধ্যে ছয়টি গাছ মারা যায়। তবে বাকি চারটিতে ইতিমধ্যেই ফল ধরতে শুরু করেছে।
গাছে এই বহুমূল্য আম দেখে এখন চিন্তিত সবাই।
মান্নান বাবুর কথায়, এই আমের দাম সম্পর্কে এতদিন তিনি নিজেও কিছু বিশেষ জানতেন না। সম্প্রতি মসজিদের আমের নিলামে এই আমের লক্ষাধিক টাকা দাম শুনে তার হুঁশ ফেরে। চারটি গাছে প্রায় ২০০ টি মিয়াজাকি আম ফলেছে।
সেগুলির বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। আমের সুরক্ষার জন্য তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন। এমনকি সুরক্ষার জন্য তিনি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। মিয়াজাকি আমের সুনাম এমনিতেই সকলেই জানেন। এখন মান্নান খানের বাড়িতে আমের হদিশ মিলতেই চর্চা তুঙ্গে।