বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার আরো কাছে মামার বাড়ি। হাজার প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে চাঁদ জয় করল ভারত। ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ এর ব্যর্থতার পর হার মানেনি ইসরো। নতুন উদ্যমে শুরু হয়ে যায় চন্দ্রযান তিনের প্রস্তুতি। গত ১৪ই জুলাই ইসরো (Indian Space Research Organisation) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে চন্দ্রযান ৩।
সেই চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছে গতকাল সন্ধ্যায়। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে সৃষ্টি করেছে নতুন ইতিহাস। ভারত পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা কিনা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে পারল। এই মিশনের পিছনে রয়েছে কয়েকশো বিজ্ঞানীর অবদান। তবে গুরুত্বপূর্ণভাবে ৯ বাঙালি বিজ্ঞানী সবার নজর কেড়েছেন।
মানস সরকার : ইসরোর এই বিজ্ঞানী বসিরহাটের বাসিন্দা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়ের এই কৃতি ছাত্র স্নাতক করেছেন পদার্থ বিদ্যায়। টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কের একজন পদস্থ অফিসার মানস।
কৃষাণু নন্দী : ইসরোর এই অভিযানের অন্যতম একজন কান্ডারী বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকার কৃষাণু নন্দী। চাঁদের মাটিতে বিক্রম অবতরণ করার পর প্রজ্ঞানের বেরিয়ে আসা থেকে শুরু করে রোবট গাড়ির সঙ্গে সমন্বয়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে তার কাঁধে।
আরোও পড়ুন : ‘তোকে দেখছি, বাবা!’ চন্দ্রযান ৩’এ বড় অবদান কৌশিকের, ছেলের কৃতিত্বে মায়ের চোখে জল
সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায় : এই অভিযানের সফটওয়্যার ডিরেক্টেড হিসেবে কাজ করছেন বীরভূমের সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিউড়ি ১ নং ব্লকের রায়পুরের এই মহাকাশ বিজ্ঞানী এখন বীরভূমবাসীর গর্বের কারণ।
বিজয় কুমার দাই : বীরভূমের বাসিন্দা বিজয় কুমার চন্দ্রযান 2 ও চন্দ্রযান 3 মিশনের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিজয় কুমার জন্মগ্রহণ করেন ময়ূরেশ্বর এলাকার দক্ষিণ গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে তিনি পড়াশোনা করেছেন।
কৌশিক নাগ : জলপাইগুড়ির বাসিন্দা কৌশিক নাগ এই মিশনের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার অবদান রয়েছে এই অভিযানে।
আরোও পড়ুন : ‘ভারত চাঁদে পৌঁছে গেছে আর আমরা…!’, চন্দ্রযান সফল হতেই হতাশ পাকিস্তানিরা যা বললেন …
তুষার কান্তি দাস : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বড়ুয়া কলোনির বাসিন্দা তুষার কান্তি দাস যুক্ত রয়েছেন ইসরোর এই অভিযানে।
পীযুষ কান্তি পট্টনায়ক : পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পীযূষ কান্তি পট্টনায়কেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে চন্দ্রযান তিনের অভিযানে।
অনুজ নন্দী : অনুজ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা। গত ৮ বছর ধরে তিনি ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় কাজ করছেন। ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক করেন করেন রায়গঞ্জ কলেজ থেকে।
জয়ন্ত লাহা : ‘প্রজ্ঞান’-এর নেভিগেশান ক্যামেরা টিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জয়ন্ত লাহা। উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে শিবপুর বিই কলেজ ও খড়গপুর IIT তে পড়াশোনা করেছেন মেধাবী এই ছাত্র।