হাসপাতালে নেই বেড, জায়গা নেই লাশ রাখারও! চিনে ফের করাল থাবা করোনার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিনে (China) আবারও হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। যার জেরে একদিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে যেমন চাপ বেড়েছে চিনের হাসপাতালগুলোর ওপর, তেমনিই মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়েও টালমাটাল অবস্থা শ্মশানগুলোর।

চিনের বেইজিং, চংকিং ও গুয়াংঝৌ শহরের শ্মশানগুলোতে আজ মঙ্গলবার সারি সারি মরদেহ দেখা গেছে। শুনশান রাস্তা। শ্মশানগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে তারা এখন অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে। এমনকি একটি শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে মৃতদেহ রাখার জায়গাও শেষ হয়ে আসছে দ্রুত।

চিনে কোভিড নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কোভিডে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ‘হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভোলিউশন’ বলছে, চিনে যেভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে গিয়েছে, তাতে সেদেশের জিরো কোভিড নীতি একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনওভাবেই এই কোভিড নীতি চিনে ওমিক্রনের সংক্রমণকে আটকে রাখতে পারেনি। এছাড়াও ‘হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভোলিউশন’ এর তথ্য ভ্যাকসিনেশনের হারের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে। রিপোর্ট বলছে, চিনে সরকার কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সাধারণ মানুষের তা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। কারণ বিদেশের মাটিতে তৈরি ভ্যাকসিন গ্রহণে অনেকেই অনিচ্ছুক। এই পরিস্থিতিতে চিন সরকার নীতি নির্ধারণ নিয়ে বিপাকে রয়েছে।

২০১৯ সালে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত চীনে মোট ৫ হাজার ২৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও চীনে করোনায় এই মৃত্যু অন্যান্য দেশের তুলনায় বহু কম।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর