বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী দিনে যারা পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন তাদের জন্য বড় সুখবর উঠে আসছে। পুজোয় দার্জিলিঙে (Darjeeling) যাওয়া পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে স্কাইওয়াক (Skywalk)। পাহাড়ে স্কাইওয়াক দেখতে এতদিন পর্যন্ত পর্যটকদের যেতে হত সিকিমের পেলিংয়ে (Pelling)। তবে এখন থেকে আর সেখানে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের সবার প্রিয় শৈল শহর দার্জিলিঙে (Darjeeling) শুরু হচ্ছে স্কাইওয়াক।
দার্জিলিঙে (Darjeeling) স্কাইওয়াকের পরিকল্পনা
কাঁচ দিয়ে তৈরি নতুন এই ঝুলন্ত সেতু তৈরি হচ্ছে দার্জিলিং (Darjeeling) শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে। সূত্রের খবর, এই ঝুলন্ত সেতু তৈরির কাঁচ নিয়ে আসা হয়েছে মুম্বাই থেকে। দার্জিলিং (Darjeeling) যাওয়ার পথে যে ছোট রঙ্গিত নদী পড়ে তার উপরেই তৈরি হচ্ছে এই স্কাইওয়াক। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই সেতুটিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কাঠ ও কাঁচের সংমিশ্রণে। ১৬০ ফুট এই স্কাইওয়াক পাহাড়ের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরোও পড়ুন : কনফার্ম খবর! কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে DIC, কর্মী নিয়োগ হবে এই পদে ; দেখুন আবেদন পদ্ধতি
সিকিমের পেলিংয়ে এতদিন পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র স্কাইওয়াক ছিল। সিকিমের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই স্কাইওয়াক। এই স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে পাহাড় থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার উঁচুতে। কাঁচের তৈরি এই স্কাইওয়াক দিয়ে পাহাড়ি খাদের উপর দিয়ে হেঁটে চলা পর্যটকদের কাছে বেশ রোমাঞ্চের কারণ। হামরো পার্টি দলের সুপ্রিমও অজয় এডওয়ার্ড পাহাড়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সিদ্ধান্ত নেন বালুবাস এলাকার একটি ঝুলন্ত সেতুকে নতুন রূপ দেওয়ার। তিনি ব্যক্তিগত খরচে এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খতিয়ে দেখছেন কাজ।
অজয় এডওয়ার্ড জানান, ” সেতু না থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। তাই এই সেতু তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।সেতু তৈরি হলে এলাকাবাসীর উপকার নয়, এই কাচের সেতু তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকের ঢল নামবে বালুবাসে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার আর্থিক উন্নতিও হবে।” তাঁর কথায়, “সেতু তৈরির কাজ শেষ হলে সেখানে রক ক্লাইম্বিং, ওয়াটার কিংডম, জিপ লাইন অ্যান্ড ব্রিজ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।”