বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উদ্যোগে চলছে নব জোয়ার কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অভিষেক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে এসে পৌঁছেছে অভিষেকের কর্মসূচি। স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) আইএনটিটিইউসির নেতাকর্মীরা অভিষেককে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানান। তবে অভিষেকের কর্মসূচিতে পোয়াবারো পকেটমারদের। সাধারণ মানুষ থেকে নেতা কিংবা সাংবাদিক, মুহূর্তে সাফ হয়ে যাচ্ছে সবার পকেট।
রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে অভিষেকের সভায় যোগ দেওয়ার পর বহু মানুষ বুঝতে পারেন যে তাদের পকেটমারি হয়েছে। হাতের একটি আংটি ও পকেটের ১০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুরের শ্রমিক নেতা তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের দুবারের মেয়র পারিষদ সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের। সন্দীপ ঘটক নামের আরও এক তৃণমূল নেতা তার পকেটে ১০ হাজার টাকা রেখেছিলেন ঢাকিদের দেওয়ার জন্য। অভিষেকের কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পর পকেটে হাত দিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে তার সেই টাকাও গায়েব হয়ে গিয়েছে।
অভিষেকের কনভয় আসার উপলক্ষে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে। সভাস্থলে নজরদারি চালাচ্ছিল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্বয়ং পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম থেকে শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুরের বহু আইপিএস অফিসার, আসানসোল ও দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ শয়ে শয়ে পুলিশ কর্মী, কমব্যাট ফোর্স। কিন্তু হাজার নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেপমারদের দল হস্তগত করেছে বহু টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী।
দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর লাহারও পকেট থেকে টাকা চুরি হয়েছে। দীপঙ্কর বাবুর কথায়, “বেশি টাকা ছিল না আমার পকেটে। কিন্তু যখন অধিবেশন স্থলে এসে জানতে পারি অনেকের পকেটমারি হয়েছে, তখন আমার পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেখি পকেট ফাঁকা।” নেতা ও সমর্থক ছাড়াও, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অধিবেশন স্থল থেকে পকেটমারি হয়েছে স্থানীয় এক সংবাদপত্রের সাংবাদিক নয়ন রায়ের।