বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment scam) মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীল (Ayan shil)। অয়নের কীর্তিকলাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইডির তরফ থেকে আদালতে বলা হল, শিক্ষিত চোরের চুরি করার ক্ষমতা বেশি। অয়ন শীলের নগরদায়রা আদালতে শুনানি ছিল মঙ্গলবার। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইডির আইনজীবী আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট (জুনিয়র)কে উদ্ধৃত করে শুরু করেন তার বক্তব্য।
তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি কখনো স্কুলে যায়নি সে একটি মাল গাড়ি চুরি করতে পারে। কিন্তু যে চোর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে, সে পকেটে পুরে ফেলতে পারে আস্ত একটা রেললাইন।” তবে এদিন আদালতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি ইডির আইনজীবীর “শিক্ষিত চোর” আসলে কে! এরপরে ইডি জানায়, অয়নের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে তারা আর কোন কোন ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছেন।
আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, ভাস্কর প্রসাদ ব্যানার্জি এবং অভিজিৎ ভদ্র এদিন ইডির পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন আদালতে। অয়নের আইনজীবী এদিন আদালতে তার মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। যেকোনো শর্তে অয়ন জামিনের আবেদন জানান। তবে ইডির পক্ষ থেকে সেই জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
পাশাপাশি জানানো হয়, তদন্তে নেমে একদিকে যেমন বেনামে সম্পত্তি কেনার কথা জানতে পারা গেছে, তেমনই কুন্তলের কথায় এক এজেন্টকে ২৬ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও জানা গেছে। ইডি (Enforcement Directorate) জানতে পেরেছে ওই এজেন্ট এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও ইডি এদিন জানিয়েছে, ওই ২৬ কোটি ছাড়াও অয়ন কুন্তলকে চাকরির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
তদন্ত নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে ওই এজেন্ট ও কুন্তলের মাধ্যমে চাকরি হয়েছে দশ জনের। এই সংক্রান্ত বিষয় প্রমাণ পেশ করার পর আদালতে ইডি জানায়, তদন্তের প্রয়োজনে অয়নকে জামিন দেওয়া যাবে না। এছাড়াও পরের সপ্তাহে অয়নের ঘনিষ্ঠদের ডেকে পাঠানো হতে পারে। অয়নের স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রের বান্ধবীকে পরের সপ্তাহে তলব করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।