গয়না বন্ধক রেখে দরিদ্র লোকজনকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন দেশের রূপান্তরকামী সম্প্রদায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গুজরাটে (Gujrat) এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে রূপান্তরকামিরা (transgender) দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই সম্প্রদায় এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে নিজেদের গয়না বন্ধক রেখে দরিদ্রদের রেশন সরবরাহ করছে। সারা দেশে হিজড়া সম্প্রদায়গুলি কোনও ধরণের উপার্জন করতে পারছে না।

IMG 20200506 WA0047

রূপান্তরকামী নুরী কানওয়ার সাহায্যে এগিয়ে আসেন

এদের মধ্যেই একজন কিন্নর নুরি কানওয়ার জানান এই লক ডাউনে তিনি একদিন একটি বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার শোনেন। তখন তিনি দেখেন একটি ছয় বছর বয়সী ছেলেকে তার মা হত্যা করার চেষ্টা করছে কারণ তাদের ঘরে খাওয়ার কিছু ছিলোনা। তখন নুড়ি সিদ্ধান্ত নেন যে এই লোকদের সাহায্য করা উচিত।গুজরাটের বরোদা শহরে স্থানীয় বস্তি ও বস্তির লোকদের কাছেও খাবার সরবরাহ করেছে নুড়ি এবং তাদের দলের অনেকেই। আটা, মসুর ডাল, চাল, চিনি, চাপাতি, তেল এবং মশলা নিয়ে তাড়াতাড়ি গরিব মানুষদের রান্নার করে দিয়ে আসে।

নুরি এবং তার বোন সাহায্য করার জন্য ফোন নাম্বার দেন 

নূরী তার ও তার বোনদের ফোন নম্বর সেই সমস্ত গরিব মানুষদের দিয়ে তাদের জানান তাড়াতাড়ি দরকার লাগলে যেন আবার ফোন করেন।নূরীর সাথীরা হিজড়া সম্প্রদায়ের কাছে সোনার গহনা খুব প্ৰিয় । তবে এই বিপদের দিনে মানুষের সহায়তা করাও গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্যই তারা শহরের লোকদের জন্য একসাথে সব কিছু করছে। নুড়ি বহু বছর ধরে অর্থ সাশ্রয় করে যে টাকা নিজের জন্য বন্ধক রেখেছিল তা সেভ করেছিল সেই টাকার দিয়েই এদের সাহায্য করেছেন।

এই কাজে সাহায্য করছে “দ্য লক্ষ্যা ” দাতব্য ট্রাস্টও

গুজরাটের এই ধরনের লোকদের সহায়তা করার জন্য দ্য লক্ষ্যা নামে একটি দাতব্য ট্রাস্টও চালান ভারতের প্রথম সমকামী যুবরাজ মনবেন্দ্র সিংহ গোহিল। তিনি এলজিবিটি (সমকামী) সম্প্রদায়ের পক্ষে এবং তার সাথে কাজ করেন। এছাড়াও এই কাজে যুক্ত ছিলেন
গুজরাটের লক্ষ্যা ট্রাস্টের পরিচালক শোভা কিন্নার।
তারা সবাই ভিডিও কলের মাধ্যমে শোভার সাথে বৈঠক করেছিল। তারপর টাকা তুলে চাল ডাল কিনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভাবী লোকদের বাড়ি গিয়ে খাবার দিয়ে আসে।

 


সম্পর্কিত খবর