বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিবাহের অনুষ্ঠান (Marriage Ceremony) মানেই অতিথিদের ভিড়ে সেখানে হয় দেদার আনন্দ এবং হইচই। পাশাপাশি, বর-কনের কাছেও জীবনের একটি অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত এনে দেয় দিনটি। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি নিঃসন্দেহে অবাক করে দেবে সবাইকে। মূলত, এবার বর ও কনেপক্ষের বিবাদের জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হল একটি বিবাহের আসর।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে হরিয়াণার (Haryana) হিসারের হানসিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বর এবং কনে পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। এমনকি, পরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও চলে। এরপর বিয়ে না করেই ফিরে যান বর। এদিকে, ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর মিলেছে। এমতাবস্থায়, আহতদের চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, কনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিয়ের সময় বরপক্ষ যৌতুক দাবি করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাত্রপক্ষ। বরং তাঁরা জানান, বর নিয়ে বরযাত্রীদের পৌঁছতে কিছুটা দেরি হওয়াতেই কনের ভাই বাইরে থেকে কিছু লোককে ডেকে এনে তাঁদের উপর হামলা চালায়। যদিও, সামগ্রিকভাবে এই ঘটনা এখন উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
“বরপক্ষ ৫ লাখ টাকা চেয়েছে”: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে হিসারের ঋষি নগরের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল হানসির মান্ডি সায়ানে। শুক্রবার রাতে, মহাসমারোহে বর উপস্থিত হন বিয়ের জন্য। কিন্তু বিবাহের আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে কনের বাবা বিজয় কুমার জানান, বরের পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ওই টাকা না দেওয়ায় বিবাদ শুরু হয়। এমনকি, এই কারণে পাত্রপক্ষের লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় ও মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে কনের মামা দীপক ও ধর্মেন্দ্র আহত হন।
“বর পৌঁছতে দেরি হওয়াতেই করা হয় হামলা”: যদিও, পাত্রীপক্ষের অভিযোগকে অস্বীকার করে পাত্রের বাবা মণিরাম জানান, নাচ-গানের কারণে বরযাত্রীদের মিছিল গেটে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। আর এই কারণেই কথা কাটাকাটি শুরু হলে পাত্রীপক্ষের লোকজন পুথি মঙ্গল গ্রামের কয়েকজনকে ডেকে এনে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এমতাবস্থায়, তাঁদের অনেকেই আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মণিরাম।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ: এদিকে, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এই প্রসঙ্গে থানা ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার জানান, রাতে তিনি খবর পান পাত্রের পরিবার যৌতুক দাবি করেছে এবং যৌতুক না দেওয়ায় বিয়ের মিছিল ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধরও করা হয়েছে। এই খবরের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এই প্রসঙ্গে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।