বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সূত্র ধরে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। তারপরই স্থানীয় কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন বাড়ির মহিলারা। আন্দোলনের ঝাঁজ এতটাই ছিল যে বাংলার গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিরর ‘হট টপিক’ হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বেশ কিছুদিন। এরই মাঝে ফের লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামলেন মহিলারা। এবার ঘটনাস্থল হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের (Howrah Jagatballavpur) মুন্সিরহাটের নবাসন এলাকায় বেআইনি মদের ঘাটি বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন স্থানীয় মহিলারা। দীর্ঘদিন ধরে। পরনে শাড়ি। কেউ মুখ ঢেকেছেন আঁচলের আড়ালে। হাতে লাঠি-বাঁশ নিয়ে চলছে অ্যাকশন। গ্রামের পথে বেরিয়ে একের পর এক বেআইনি মদের ঠেকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন তারা।
কারণ কী? এলাকাতে মহিলাদের দাবি এলাকায় বেআইনি মদের কারবার দিন দিন বাড়ছে। এদিকে চোলাই মদ খেয়ে তাদের স্বামীরা বাড়িতে এসে তাদের ওপর অত্যাচার করেন। রোজ সংসারে অশান্তি। এমনকি মারধর পর্যন্ত চলে। এসবে লাগাম দিতেই পথে নেমেছেন তারা।
মহিলাদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এসব চলছে। বেআইনি মদের কারবারের বিষয়ে বারংবার গ্রামের পুলিশকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আর কোনো রাস্তা না পেয়ে তারাই মদের ঘাঁটি ভাঙছেন। এদিন সকলের একজোট হয়ে বাঁশ লাঠি হাতে নিয়ে মদের ঠেক ভেঙে আগুন দেন।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক কর্তাদের এত ‘ইগো’ কীসের? কান মুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট, ৩ লক্ষের ফাইন
বিক্ষোভ দেখানো এক মহিলার কথায়, দিনের পর দিন মদের নেশায় তাদের বাড়ির পুরুষরা সর্বশান্ত হচ্ছে। রোজ স্বামীরা মদ খেয়ে বাড়িতে গিয়ে অশান্তি, মারধর করে। বাচ্চাদের স্কুল, খরচা কিছুই দেখে না। দিদি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলছে।