তাকিয়ে থাকল গোটা বিশ্ব! মাত্র ২৪ ঘন্টায় নির্মাণ হল আস্ত রেল সেতু, নয়া নজির ভারতের

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে (India) গণপরিবহণের পরিষেবাকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি তৈরি করা হচ্ছে পরিবহণের নিত্যনতুন মাধ্যম। এমতাবস্থায়, শুরু হয়েছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ। মাঝখানে এই কাজের গতি কিছুটা কমে গেলেও এখন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে এই প্রকল্প। ঠিক এই আবহেই এই প্রকল্প তৈরি করেছে এক নয়া নজির।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত ২৩ জুন বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১৩০ মিটার লম্বা একটি ইস্পাত সেতুর। আর সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পুরো কাজটি করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে! হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। উল্লেখ্য যে, National High Speed Rail Corporation Limited এই নজিরবিহীন রেকর্ড গড়েছে।

In India, the entire bridge was built in just 24 hours.

জানা গিয়েছে যে, গুজরাটের ভাদোদরার কাছে ওই ইস্পাতের সেতুটি দিল্লি-মুম্বাই ন্যাশনাল এক্সপ্রেসওয়েতে বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, ওই সেতুটি বসানোর সময়ে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। ওই সেতুটি মোট ১৮ মিটার উঁচু এবং ১৪.৯ মিটার চওড়া। এছাড়াও, সেটির ওজন হল ৩,০০০ মেট্রিক টন। উল্লেখ্য যে, ওই সেতুটি নির্মাণের সময় সেখানে ১২৪,২৪৬ টর্শন-শিয়ার টাইপ উচ্চ শক্তির বোল্টের ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভাবতেও পারবে না কেউ! বন্ধু ইজরায়েলের জন্য কী কী অস্ত্র পাঠাল ভারত? সামনে এল গোয়েন্দা রিপোর্ট

এছাড়াও, আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই সেতু দিয়ে ১০০ বছর ধরে চলাচল করা যাবে। মাটি থেকে ১৫ মিটার উঁচুতে থাকা এই সেতুটি বসানোর জন্য অস্থায়ী ট্রেসলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়াও, সমগ্র সেতুটিকেই ম্যাক-অ্যালয় বার ব্যবহার করার মাধ্যমে ২৫০ টন ধারণক্ষমতা সহ ২ টি আধা-স্বয়ংক্রিয় জ্যাকের একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম দ্বারা টেনে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: আচমকাই পাল্টি খেল মলদ্বীপ! চিনে পৌঁছে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুইজ্জুর মন্ত্রী, জানালেন….

সতর্কতার সাথেই এই পুরো কাজটি সম্পন্ন করার পাশাপাশি সেতুটি বসানোর সময়ে নিরাপত্তার দিকটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য পুরো করিডোরে থাকছে মোট ২৮ টি ইস্পাত সেতু। যেগুলির মধ্যে এটি হল তৃতীয় সেতু। এদিকে, প্রথম এবং দ্বিতীয় ইস্পাত সেতু বসানো হয়েছে যথাক্রমে সুরাটের ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং গুজরাটের নাদিয়াদের কাছে। উল্লেখ্য যে, এই সেতুগুলিকে হাইওয়ে থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেললাইন পারাপার করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে মনে করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর