ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ পেরলো, ৩ দিনে আক্রান্ত ১০,০০০

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবার দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের (Corona virus) সংখ্যা ৫০,০০০ পেরলো। চারমাস আগে প্রথম কেরলে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। গত তিনদিনের ব্যবধানে দেশে প্রায় ১০,০০০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,৫৪৫ জন, বেশিরভাগ আক্রান্তই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত ১৪,০০০ এর বেশি মানুষ আরোগ্যলাভ করেছেন এবং ১,৬৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭৫৮ জন, তারমধ্যে বুধবারই ১,২৩৩ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগ মুম্বইয়ের বাসিন্দা, সেখানে করোনা আক্রান্ত ১০,৭১৪ জন।

আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭৫৮ জন। এর মধ্যে আজই ১,২৩৩ জনের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে ‘করোনা হাবে’ পরিণত হয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। শুধুমাত্র সেখান ১০,৭১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ভাইরাস, মার্চে তা অতিমারীর আকার নেয় এবং জানুয়ারিতে ভারতে আসে। ৩০ জানুয়ারি কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। আক্রান্ত পড়ুয়া উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন। মার্চে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, ২৫ মার্চ কেন্দ্রের তরফে লকডাউন জারির আগেই একের পর এক রাজ্য লকডাউনের ঘোষণা করে।

দু ধাপে লকডাউন বাড়ানো হয়, প্রথমবার ১৪ এপ্রিল, এবং পরেরবার ৩ মে। বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ ১৭ মে পর্যন্ত। যদিও এক্ষেত্রে কিছু রাজ্যের তরফে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা।

আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে গুজরাট। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬,২০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরই আছে দেশের রাজধানী দিল্লি। সেখানে করোনায় আক্রান্ত কমপক্ষে ৫,০০০ জন। দিল্লির পরে তামিলনাড়ুর স্থান।

লকডাউনের ফলে দেশে অর্থনৈতিক গতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে, লকডাউনের কারণে রয়েছে দেশের শিল্পোৎপাদন। সরকার এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের বেতন কমানোর ঘোষণা করেছে। বিনা বেতনে ছুটি বা ছাঁটইয়ের ঘোষণা করেছে বিমান পরিষেবার মতো ক্ষেত্র। লকডাউনের কারণে, রোজগার থমকে যাওয়া অনাহারে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক।

X