বাংলাহান্ট ডেস্ক :একাধিক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পরামর্শ নেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)! রবিবার ওয়াশিংটন ডিসি-তে এক অনুষ্ঠানে মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন আমেরিকার (US) ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন ফাইনার। তাঁর এই মন্তব্যের পরই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
এদিন আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধুর আধিকারিক বাসভবনে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মার্কিন মুলুকের শীর্ষ আমলা থেকে শুরু করে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। প্রায় ৭০০ জন অতিথির মধ্যে ছিলেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তাবড় নেতারাও। ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ভারতের বৈচিত্র উদযাপনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সমস্ত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এদিন দিওয়ালি, ইদ, ক্রিসমাস-সহ অন্যান্য উৎসবের সামগ্রিক আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। অতিথিদের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। খাবার টেবিলে শোভা পাচ্ছিল রকমারি ভারতীয় খাবার। সেখানেই নিজের ভাষণে আমেরিকার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন ফাইনার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন। জি-২০ সম্মেলনে মোদির ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। ফাইনার জানান, জি-২০ সম্মেলনে একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়ে মোদির পরামর্শ নেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতেও ওয়াশিংটন-দিল্লি সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে বাইডেন ঘনিষ্ঠ জনাথন ফাইনার বলেন, ‘ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের জন্য ২০২২ খুব বড় বছর। দুই দেশের জন্য আগামী বছর আরও বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরমর্শদাতা এবং পার্টনার হিসেবে বাইডেনের তালিকায় মোদির নাম অনেক উপরে।’ ২০২৩-এর কথা উল্লেখ করে আমেরিকার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, কোয়াড শীর্ষ নেতৃত্ব সম্মেলনে অংশ নেবে দুই দেশ। আরও জানা যায় ‘২+২ ডায়ালগ’ বা বৈঠকে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
এদিকে, গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ (G-20) সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি এবং বাইডেন। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের মতো বিষয় নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়। ভারতের বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচী একটি টুইট করে লেখেন, ‘কোয়াড অর্থাৎ, আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আই২ইউ২-র রাষ্ট্র, ভারত, ইজরায়েল, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী মতো গোষ্ঠীতে ভারত এবং আমেরিকার বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী করতে সম্মত ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই।