বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। যাদবপুরে ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ ও তারপর শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্র আহত হতেই রণমূর্তি ধারণ করে এসএফআই। এরপরেই বামপন্থী পড়ুয়াদেরকে নিশানা করে নিজেদের দলের নেতার সপক্ষে সুর চড়াতে থাকে ঘাসফুল শিবির।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) পিছু হটল এসএফআই
শুধু তাই নয়, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করে দেয় গেরুয়া শিবির। থানার সামনে আন্দোলন শুরু করে দেয় এবিভিপি (ABVP)। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসের ভিতরেও ঢুকে পড়ে এবিভিপি-র মিছিল। এমনকি, রাস্তায় শুয়ে পড়েও আন্দোলনে অংশ নেয় এবিভিপি সমর্থকরা। গেট থেকে এসএফআই (SFI) পতাকা খুলেও ফেলা হয়।
আরোও পড়ুন : ঘুরছে খেলা, পাল্টি খাচ্ছে বাংলাদেশ! ভারতের প্রসঙ্গে এবার উল্টো সুর ইউনূসের
এক কথায় সব মিলিয়ে বলা যায়; বাম-ডান, সবপক্ষের ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের জেরেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। তবে এবার যাদবপুরে পিছু হটতে বাধ্য হল বামেরা। চার কারণ, একদিকে, রাস্তায় নেমে আসে যুব মোর্চা অন্যদিকে, ক্যাম্পাসের ভিতরে এবিভিপি ঢুকে পড়তেই চাপে পড়ে যায় এসএফআই।
আরোও পড়ুন : EXCLUSIVE: “জীবনে কখনও ব্যাট-বল ধরেছেন….”, রোহিতকে দলের “অনুপযুক্ত” বলতেই সৌগতকে ধুয়ে দিলেন অশোক দিন্দা
দুই সংগঠনের সমন্বয়েই যেন যাদবপুরে এবার ভিত নড়ে গেল বামেদের। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে ঘাসফুল শিবিরের আরও বেশি সুর চড়ানোর কথা ছিল, সেখানে যেন এবার বেশ খানিকটা ম্লান হয়ে গেল তৃণমূল। গেরুয়া শিবির অবশ্য মনে করছে, বিজেপি বিরোধী ভোট নষ্টের ভয়ে বামেদেরকে খুব একটা চটায় নি তৃণমূল।
এমনকি, যাদবপুরের বামেরা যে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলেরই ভোটকর্মী, সেই বিষয়টি নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বামেদের এমন বিশৃঙ্খলার রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ দেখাল যুব মোর্চা ও এবিভিপি। এককথায় বলা যায়, তাঁতিবেড়িয়ায় সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকের প্রতিফলন দেখা গেল যুব মোর্চা-এবিভিপির আন্দোলনে।