বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদালতের (Highcourt) নির্দেশে গতকাল চাকরি গিয়েছে এসএসসির (School Service Commission) গ্রুপ ডি ১৯১১ জনের। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই মুহূর্তে জেলে। এরই মধ্যে কেলেঙ্কারির খবর সামনে এল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থেকে। অভিযোগ দুই শিক্ষকের বদলে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায় এক প্রাইমারি স্কুলে ডিউটি করছেন তাদের আত্মীয়রা।
এই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জলপাইগুড়ি জেলার গয়েরকাটা এলাকার পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা।
অভিযোগ এই স্কুলে শিক্ষকদের পরিবারের লোকেরা প্রক্সি দিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু এটা কি আদৌ করা যায়? শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে তাই উঠছে বড় প্রশ্ন।
শিক্ষা দপ্তর এর নিয়ম অনুযায়ী কোন একজনের জায়গায় অন্য কেউ প্রক্সি দিতে পারেন না। তাহলে বছর পর বছর ধরে কিভাবে দুই ব্যক্তি এই দুই শিক্ষকের বদলে কাজ করে যাচ্ছেন। আসল শিক্ষকরা তাহলে কোথায়? স্কুল কর্তৃপক্ষ কি কারণে তাদের অনুপস্থিতির অনুমতি দিল? প্রশ্ন উঠছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও।
এই ঘটনার বিষয় জানতে শনিবার সংবাদ মাধ্যমের লোকেরা স্কুলে পৌঁছালে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতিমতো তেড়ে আসেন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধুপগুড়ি ওয়েস্ট সার্কেলের এসআই রাজদীপ সরকার। এই স্কুলে দাদার চাকরিতে প্রক্সি দিচ্ছেন রুপা দে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, “এই স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দের বোন আমি”।
এখানে পড়াচ্ছি বেশ কিছুদিন ধরে। দাদা অসুস্থ থাকায় ক্লাস করাতে পারেন না। তাই এস আই অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে আমি পড়াচ্ছি।অন্যদিকে, গত ছয়-সাত মাস ধরে মায়ের পরিবর্তে এই স্কুলে পড়াচ্ছেন এক যুবক। তিনি বলেছেন, মায়ের শরীর খারাপ বলে আমি পড়াই। এসআই বলেছেন স্কুল ফাঁকা থাকবে। আমি তাকে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি তা মঞ্জুর করেছেন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ওরা এই স্কুলে কাজ করছেন ধুপগুড়ি সার্কেলের এসআই এর অনুমতি নিয়ে। আপনাদের স্কুল সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে বাধ্য নেই।