বাংলা হান্ট ডেস্ক: জেল থেকে ছাড়া পেয়েও মেলেনি স্বস্তি। বরং, দিনে-দুপুরে কার্যত তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল জলপাইগুড়িতে। স্ত্রী এবং বান্ধবীর জেরে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেল এক যুবকের। জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার ট্রাফিক মোড়ে রাস্তার ওপরেই ওই যুবককে নিয়ে শুরু হয়ে যায় দড়ি টানাটানি।
জানা গিয়েছে যে, শনিবার দুপুরেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান হাসান মহম্মদ নামে এক যুবক। আর তারপরেই ঘটে যায় বিপত্তি। দুই মহিলার মধ্যে হাসানকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় বাকবিতন্ডা। যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। এমনকি, একটা সময়ে হাসানকে ধরে টানাহেঁচড়াও করা হয়। এদিকে, এই ঘটনায় প্রবল বিপাকে পড়ে যান ট্রাফিক পুলিশও।
মূলত, সেখানে থাকা এক মহিলা নিজেকে হাসানের বান্ধবী দাবি করে জানিয়েছেন যে, “হাসানের সঙ্গে আমার ৭ বছরের প্রেম রয়েছে। আজ ও জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। আর আজই আমাদের বিয়ে হওয়ার কথা। হাসান আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমার স্বামীর কাছ থেকে ও আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। তিন মাস ধরে আমার সঙ্গে ছিল হাসান। এখন আমার স্বামী আমাকে আর মেনে নেবে?”
এদিকে, অপর এক মহিলা নিজেকে হাসানের স্ত্রী দাবি করে জানিয়েছেন যে, তিনিই হাসানের স্ত্রী। এমনকি, তাঁদের সন্তানও রয়েছে। শুধু তাই নয়, হাসানের প্রেমিকার উদ্দেশ্যে তিনি অভিযোগের সুরে জানান যে, “ও আমার বরকে আটকে রেখেছিল। এখন স্বামী ছাড়া পেয়েছে। তারপরে দেখি ওই মহিলা চলে এসেছে। এমনকি, ওর হাত ধরে টানাটানিও করছে।”
এদিকে, এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান পথচলতি মানুষজনও। শেষপর্ন্ত ট্রাফিক পুলিশ ওই ৩ জনকে ধরে এনে কন্ট্রোল রুমে বসিয়ে রাখেন। এমনকি, খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানাতেও। তারপরেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ সেখানে এসে ওই ৩ জনকেই থানায় নিয়ে যায়। আপাতত এই প্রসঙ্গে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যদিও, হাসানকে নিয়ে ওই দুই মহিলার এহেন দাবি ধন্দে ফেলেছে পুলিশকেও।